পুরানো রূপে রাজধানী, তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২২, ১৩:১৭

যানজটে নাকাল নগরবাসী। ছবি : মেহনাজ খান
যানজটের ভোগান্তি থেকে কোনোভাবেই রেহাই পাচ্ছেন না রাজধানীবাসী। প্রায় মাসখানিক ধরে মগবাজার মোড় হতে বাংলামোটর পযর্ন্ত ভয়াবহ যানজটে নাকাল হয়ে পড়েছে অফিসগামী লোকজন ও সাধারণ মানুষ।
পানির লাইনের খোঁড়াখুঁড়িতে সড়কের প্রশস্ত কমেছে। অনেক সড়কে ড্রেন কাটা ও পাইপ বসানোর কাজ চলমান থাকায় রাস্তা বন্ধ রয়েছে। এতে চাপ বাড়ছে অন্য সড়কেও। এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর থেকে যানজটের পুরোনো চেহারায় ফিরে যাচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক।
সব সড়কে যানজট থাকায় রিকশায় চলাচল করা যাত্রীদেরও ভোগান্তি বেড়ে যায়। তাদেরকে একই জায়গায় বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়। এতে করে রিকশা চালকের সাথে যাত্রীদের ঝগড়াও হয়। যানজটে গাড়ির ট্রিপ কমেছে। এতে তাদের আয় কমে গেছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন চালক। মালিককে দিনের জমা টাকা দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
মতিঝিল এলাকায় নিয়মিত অফিস করেন এমন একজন ব্যাংকার হাফিজ উদ্দিন বলেছেন, ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগ অফিস এই এলাকায়। সকাল ১০টায় অফিস শুরু হয়। এ কারণে ৯টার পর থেকেই এসব এলাকায় প্রবেশ পথগুলোতে যানজট সৃষ্টি হয়।
খিলগাঁও থেকে দৈনিক বাংলার মোড়ের সড়ক, মুগদা-কমলাপুরের সড়ক, ওয়ারী, টিকাটলি ও গুলিস্তান হয়ে আসার পথগুলোতে যানজট লেগেই থাকে। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে এই যানজট বেড়েছে। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর থেকে যানজট পরিস্থিতি বেড়েছে। পাশাপাশি মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ ও সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের জন্য চলাচলের রাস্তা কমে গেছে।
বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকা মো. স্বপন বলেন, যানজট থাকায় বাস আসতে দেরি হচ্ছে। তাই অপেক্ষার প্রায় প্রতিদিন লেট করে অফিস যেতে হচ্ছে। বিমানবন্দরের দিকে যাওয়ার জন্য কোনো বাস পাচ্ছি না। বাংলামোটর এলাকায় যানবাহন চলাচল করছে সঙ্কীর্ণ সড়ক দিয়ে।
বেসরকারি চাকরিজীবী রাবেয়া হাসান বলেন, দেড় ঘন্টা আগে বাসা থেকে বের হয়েও ঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছানো যায় না। যানজটের কারণে গাড়ি জায়গা থেকে নড়ে না ফলে সময় বেশি লাগে। বাংলামোটর ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে সব বাস চলাচল করছে, তাও কিন্তু যানজট কমছে না।