Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

৭ দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২২, ২০:৩৭

৭ দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের

সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

মহার্ঘ ভাতা প্রদান, নবম পে-স্কেল ঘােষণার মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসনসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ। 

আজ শনিবার (১৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মুখ্য সমন্বয়ক মাে. ওয়ারেছ আলী। 

তিনি বলেন, পে-কমিশন গঠন করে নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের আগে অন্তর্বর্তীকালীন কর্মচারীদের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘােষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে। সচিবালয়ের মতো সব দপ্তর, অধিদপ্তরের পদ-পদবি পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়ােগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ৮১ টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনঃবহাল, বিদ্যমান গ্রাচুইটি বা আনুতােষিকের হার ৯০ শতাংশ এর স্থলে ১০০ শতাংশ নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি এক টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

তাদের দাবি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়ােগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। আউট সাের্সিং পদ্ধতি বাতিল করে ওই পদ্ধতিতে নিয়ােগ ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। এছাড়া কর্মরত কর্মচারীসহ সব পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা পাঁচ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।

তারা আরো দাবি করেন, বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় করে সব ভাতা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সমন্বয়ক মাে. লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, ১৯৯৫ সালে সচিবালয়ে উচ্চমান সহকারী, প্রধান সহকারী, শাখা সহকারী ও বাজেট পরীক্ষকদের পদবি প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সাঁট লিপিকারদের পদবি ব্যক্তিগত কর্মকর্তা করে সচিবালয় ও সচিবালয়ের বাইরের কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। বর্তমানেও সব দপ্তর, অধিদপ্তরের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন না করে শুধু বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পদবি পরিবর্তন করার বিষয়টি বৈষম্য নিরসন না করে পুনরায় বৈষম্যের বেড়াজাল তৈরি করা হচ্ছে, যা কোনোভাবে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাশিত নয়। সচিবালয়ের বাইরে সব দপ্তর ও অধিদপ্তরের কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন ও ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা না হলে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করা হবে, যা সাধারণ কর্মচারীরা কখনো মেনে নেবেন না।

সভাপতি আরো বলেন, ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের এই বঞ্চিত লাখ লাখ কর্মচারীকে বাদ দিয়ে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব নয়। বিষয়টি বিভিন্নভাবে সরকারের উচ্চ মহলে জানানো হয়েছে। তদুপরি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে সাত দফা দাবি আদায়ের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিভাগ, ৮ এপ্রিল সিলেট বিভাগ, ৯ এপ্রিল ময়মনসিংহ বিভাগ, ১৫ এপ্রিল বরিশাল বিভাগ, ১৬ এপ্রিল খুলনা বিভাগ, ১৩ এপ্রিল মে রংপুর বিভাগে বিভাগীয় সমাবেশ করা হবে। আগামী ২০ মের মধ্যে সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে ২৭ মে ২০২২ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশের মাধ্যমে কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি ঘােষণা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদ, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ, বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি, বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসােসিয়েশন, বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ১৭-২০ গ্রেড কর্মচারী সমিতি, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠ কর্মচারী অ্যাসােসিয়েশন, বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫