
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো।
আজ মঙ্গলবার (২২ মার্চ) শীতলক্ষ্যার মদনগঞ্জ এলাকা থেকে সন্ধ্যায় ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এর আগে ভোরে এক শিশুসহ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে লঞ্চডুবির ঘটনায় আর কোনো নিখোঁজ দাবিকারী নেই জানিয়ে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। তবে নৌপুলিশ নদীতে তল্লাশি চালিয়ে যাবে।
এসব বিষয় নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ‘সবশেষ উদ্ধার হওয়া মরদেহটি হাতেমের। নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেছেন। নৌপুলিশ হাতেমের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লঞ্চডুবির ঘটনায় আর কোনো নিখোঁজ দাবিকারী নেই, তাই আনুষ্ঠানিকভাবে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করেছে। তবে নৌপুলিশ নদীতে তল্লাশি চালিয়ে যাবে।’
নৌপুলিশের নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
‘আমরা নদীতে তল্লাশি চালিয়ে যাব। কোনো মরদেহ পাওয়া গেলে শনাক্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
এর আগে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলামিন নগর এলাকায় রবিবার (২০ মার্চ) বেলা ২টার দিকে সিটি গ্রুপের কার্গো জাহাজের ধাক্কায় এম এল আশরাফ উদ্দিন নামের একটি লঞ্চ ডুবে যায়। নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা।