টিকা কার্যক্রমে বিশ্বে অষ্টম স্থানে বাংলাদেশ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২২, ১৩:১১

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
দেশ করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন কার্যক্রমে সফল হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের ভ্যাকসিন কার্যক্রম এতটা সফল হয়েছে যে বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণেও বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থানে অধিকার করেছে।
তিনি বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে এই নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রাখার জন্য আরো সচেতনতা জরুরি। করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনি সবাইকে নিয়মিত মাস্ক পরতে ও টিকা নেওয়ারও আহ্বান জানান।
আজ মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক সার্জারি কনফারেন্স ও বার্ন ইনস্টিটিউটে মুজিব কর্নার ও বঙ্গবন্ধু গ্যালারি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত সাড়ে ২৯ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে। ইতোমধ্যে সাড়ে ২৩ কোটি ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৭৫ ভাগেরও বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। আর ফ্রন্ট লাইনারদের প্রায় ৯৭-৯৮ শতাংশ লোক ভ্যাকসিনেটেড হয়েছে। এখন করোনায় মৃত্যু প্রায় শূন্যের কোটায়, সংক্রমণের হারও এক শতাংশের এর নিচে নেমে এসেছে।
এসময় স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশে এখন করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে, নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনি সবাইকে নিয়মিত মাস্ক পরতে ও টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরো দাবি করেন, দেশের করোনার টিকা কার্যক্রম এতটা সফল হয়েছে যে বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে। একইসাথে করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
জাহিদ মালেক জানান, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ মানুষ ওপিডিতে (আউট পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট) সেবা নিয়েছেন। আর এই ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার জনের অপারেশন হয়েছে এবং জরুরি সেবা নিয়েছে ১৩ হাজার ৫০০ লোক।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন, সোসাইটি অব প্লাস্টিক সার্জন বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. হেদায়াত আলী খানসহ আরো অনেকে।