রাজশাহীতে ধানের জমিতে সেচের পানি না পেয়ে দুই কৃষকের ‘আত্মহত্যার’ ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। নবগঠিত কমিটিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আবু জুবায়ের হোসেন বাবলুকে এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- রাজশাহী জেলার কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল জলিল, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শমসের আলী।

২৪ ও ২৭ মার্চ যথাক্রমে দুটি গণমাধ্যমের প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

কৃষি সচিব মো. ছায়েদুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেন, কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটি এ মুহূর্তে ঘটনাস্থলে চলে গেছেন। তারা তদন্ত করছেন, পাশাপাশি পুলিশও তদন্ত করছে।

গত ২৪ মার্চ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নিমঘাটু গ্রামের সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সদস্য রবি মার্ডি (৩২) ও তার চাচাতো ভাই অভিনাথ মার্ডি (৩০) বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর টিউবওয়েল অপারেটর শাখাওয়াত হোসেনের সামনে বিষ পান করেন।

ওই দিনই রাত ৯টার দিকে অভিনাথ মারা যান, আর এর দুইদিন পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যান রবি।

তাদের পরিবারের দাবি, ঈশ্বরপুরে তাদের জমিতে সেচের পানি সরবরাহ করার জন্য শাখাওয়াত দীর্ঘদিন ধরে তাদের সিরিয়াল নম্বর না দেওয়ার ক্ষোভ থেকে তারা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ ঘটনায় অভিনাথ মার্ডির স্ত্রী রোজিনা হেমরম আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন। সেখানে বলা হয়, ধান ক্ষেতে সেচের পানি না পেয়ে বিষপান করেছেন দুইজন।