ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা সংলাপ শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২২, ১০:০২

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন (ডানে) ও যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি বনি ডেনিস জেনকিন্স। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদারে ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে নিরাপত্তা সংলাপ শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার (৬ এপ্রিল) স্টেট ডিপার্টমেন্টে এ সংলাপ শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এটি দুই দেশের মধ্যে অষ্টম নিরাপত্তা সংলাপ। নিরাপত্তা সংলাপ সাধারণত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তার নেতৃত্বে হলেও, এ বছর এটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশের পক্ষে সংলাপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি বনি ডেনিস জেনকিন্স।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিনিধিত্বের এই প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। আমরা মনে করি ওয়াশিংটন বাংলাদেশের সাথে নিরাপত্তা সহযোগিতার উপর অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়ন করতে চাইছে এবং বাংলাদেশকে এই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান দেশ হিসেবে বিবেচনা করছে বলে এ বছরের সংলাপটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশের সাথে জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট এবং অ্যাকুজিশন অ্যান্ড ক্রস সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট- এই দুটি প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে, প্রতিরক্ষা বাণিজ্যের সুযোগ সম্প্রসারণ, তথ্য আদান-প্রদান ও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি বলে ধরা হয়।
গত মার্চ ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের সংলাপের পর মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেছিলেন, তারা জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্টের একটি খসড়া পাস করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, ঢাকা চুক্তিটি যাচাই করছে এবং সংলাপের সময় এটি নিয়ে আরো আলোচনা হবে। তবে এটি ওয়াশিংটনে সই হচ্ছে না।
এর আগে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, র্যাব ও এর বর্তমান-সাবেক সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিরাপত্তা সহযোগিতায় প্রভাব ফেলছে। তাই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সংলাপে এ বিষয়টি জোরালোভাবে উত্থাপন করা হবে।