পড়া না পারায় ছাত্রকে দিয়ে ছাত্রীর গালে চড়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২২, ২১:১২

ড. রওশন আলম কলেজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ক্লাসে পড়া না পরায় ছাত্রকে দিয়ে ছাত্রীর গালে চড় মারানোর অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত ৪ এপ্রিল উপজেলার ড. রওশন আলম কলেজে ঘটনা ঘটলেও তদন্তে কমিটি গঠনের পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
গতকাল শুক্রবার (৮ এপ্রিল) তদন্ত কমিটি সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে কমিটির পাঁচ সদস্যের কাছে।
কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক জানিয়েছেন, বাঞ্ছারামপুরের ফরদাবাদ ইউনিয়নে অবস্থিত ওই কলেজে গত ৪ এপ্রিল সকালে দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে ক্লাস নিচ্ছিলেন শিক্ষক সাদেকুর রহমান। ক্লাসে আলোচনা করা বিষয় নিয়ে এক ছাত্রীকে প্রশ্ন করেন তিনি। কিন্তু ওই ছাত্রী ভুল উত্তর দেন। এজন্য পড়া না পারায় শিক্ষক সাদেকুর ওই ছাত্রীকে নিজ হাতে নিজের গালে চড় মারতে বলেন। পরপর তিনবার বলার পরও চড় না মারায় পাশে থাকা আরেক ছাত্রীকে ওই ছাত্রীর গালে চড় মারতে বলেন। কিন্তু পাশের ছাত্রীও চড় দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
পরে এক ছাত্রকে ওই ছাত্রীর গালে চড় দিতে বলেন শিক্ষক সাদেকুর রহমান। এ সময় ছাত্রীর গালে চড় মারেন ওই ছাত্র। এ ঘটনা জানাজানি হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। এর প্রেক্ষিতে
কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ঘটনা জানার পর আমরা কলেজে গিয়েছি। ওই শিক্ষকসহ কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক সাদেকুর রহমান বলেন, ক্লাসে একটি মান নিয়ে আলোচনা করছিলাম। ওই ছাত্রী আগেও ভুল করেছিল। তার ভুল সংশোধন করে দিয়েছিলাম। এরপরও না পারায় তাকে নিজের গালে চড় মারতে বলেছিলাম। বারবার ভুল হওয়ায় ভেবেছিলাম এটা করলে মনে থাকবে। ওই ছেলেটা নিজে থেকেই অতি উৎসাহী হয়ে ছাত্রীর গালে আস্তে করে হাত দিয়েছে।
ড. রওশন আলম কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া কলেজের সভায় এ ঘটনার জন্য ওই ছাত্রীর বাবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।