
একে একে অন্য রুটের ট্রেনগুলোও প্লাটফর্ম ছাড়ে। ছবি : সংগৃহীত
রেলওয়ের রানিং স্টাফ (ট্রেনচালক, সহকারী চালক, গার্ড ও টিকিট পরিদর্শক–টিটি) ও শ্রমিক-কর্মচারীদের ঘোষিত ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের দুই নম্বর প্লাটফর্ম থেকে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এরপর একে একে অন্য রুটের ট্রেনগুলোও প্লাটফর্ম ছাড়ে।
বেতন-ভাতা (মাইলেজ) সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন না হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আজ সারা দেশে ধর্মঘটের ডাক দেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফরা। এর ফলে আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও ট্রেন চলেনি।
এ পরিস্থিতিতে বেলা ১১টার দিকে কমলাপুর স্টেশনের বিশ্রামাগারে আন্দোলনরত রেলকর্মীদের সাথে বৈঠকে বসেন রেলমন্ত্রী। বৈঠক শেষে দাবি পূরণের ঘোষণা দিয়ে বেলা ১২টার দিকে তিনি বলেন, আমরা রেলের রানিং স্টাফদের দাবির সাথে একমত। এর পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা।
তবে শিডিউল বিপর্যয়ের পড়া ট্রেনের টিকিটের অর্থ ফেরত দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. মাসুদ সারওয়ার বলেন, কমলাপুর থেকে দিনে ৭২টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়। কিন্তু রেলের রানিং স্টাফরা ভোররাতে কর্মবিরতিতে যায়। এ করণে সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১৮টি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। এসব ট্রেনের টিকিট যাত্রীদের ফেরত দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে দেশের অন্যান্য স্টেশন থেকে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
টিকিটের টাকা ফেরত পেলেও দীর্ঘ শিডিউল বিপর্যয়ে এদিন সারাদেশে বিভিন্ন গন্তব্যমুখী সাধারণ যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েন।
তবে রেলের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এ কারণে শিডিউল বিপর্যয় স্বাভাবিক। শিডিউল আজ বা আগামীকালের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।