স্কুলের টিউবওয়েল থেকে চেষ্টা করেও পানি তুলতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। ছবি: পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার সুজানগরে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় প্রায় হাজার টিউবওয়েল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিশুদ্ধ পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুজানগর পৌরসভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৫০ থেকে ৬০ হাজার হস্তচালিত টিউবওয়েল রয়েছে। উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এই টিউবওয়েল রয়েছে।
চলতি মৌসুমে প্রচণ্ড খরার কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিক নিচে নেমে গেছে। এতে ওই সকল টিউবওয়েলের মধ্যে প্রায় হাজার টিউবওয়েল বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলার মানিকহাট গ্রামের মো. খালেক বলেন, ‘আমার বাড়ির টিউবওয়েলে গত ১৫ থেকে ২০ দিন পানি উঠছে না। পার্শ্ববর্তী বাড়ির একটি অগভীর ‘তারা’ টিউবওয়েল থেকে অনেক কষ্ট করে পানি টেনে এনে রান্নার কাজ চালাচ্ছি।’
একই গ্রামের আমজাদ আলী বলেন, চৈত্র মাস আসার আগে থেকেই আমার টিউবওয়েলে পানি উঠা বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে রান্নার কাজে ব্যবহারের জন্য এবং খাওয়ার পানির চাহিদা মেটানোর জন্য দূর-দূরান্তের অগভীর ‘তারা’ টিউবওয়েল থেকে পানি টেনে আনতে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, গোসলসহ অন্যান্য কাজে প্রয়োজনীয় পানির অভাবে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, কোথাও কোথাও গভীর নলকূপেও পানি উঠছে না। এতে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে যায়। ফলে এসময় গভীর এবং অগভীর ‘তারা’ টিউবওয়েল ছাড়া হস্তচালিত সাধারণ টিউবওয়েল পানি উঠে না। তবে ভারি বৃষ্টি হলে ওই সকল বন্ধ টিউবওয়েল আবার সচল হয়ে যাবে।