কসবায় হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প

আজিজুর রহমান পায়েল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২২, ১৫:০০

চার শতাধিক গৃহহীন পরিবারের জন্য তৈরি হচ্ছে ঘর। ছবি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
একসাথে চার শতাধিক গৃহহীন পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের মহাযজ্ঞ চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের মনকশাইর এলাকায়। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক লাগোয়া দেশের সবচেয়ে বড় এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে পাকা ঘরের পাশাপাশি উপকারভোগীদের জন্য থাকছে ধর্মীয় উপাসনালয়, হাট-বাজার, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কবরস্থান। নির্মাণযজ্ঞ শেষে আগামী মে মাসেই ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে উপকারভোগীদের কাছে।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে কসবা উপজেলার গৃহহীন পরিবারগুলোর জন্য দেশের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প হাতে নেয় উপজেলা প্রশাসন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রচেষ্টায় মনকশাইর এলাকায় ১২.৩৫ একর খাস জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ হচ্ছে। মাটি ভরাট শেষে গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে শুরু হয় ঘর নির্মাণের কাজ। ঘরের চালাগুলো জাতীয় পতাকার আদলে সবুজ ও লাল রঙে করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চার শতাধিক গৃহহীন পরিবারের জন্য সারি সারিভাবে তৈরি হচ্ছে ঘর। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ঘরের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। মাঝখানের ঘরের চালাগুলোতে লাল রঙ এবং বাকিগুলোতে সবুজ রঙের ঢেউটিন দেওয়া হচ্ছে। মূলত জাতীয় পতাকার আদলেই এমনটি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, দুই শতাংশ করে জমির ওপর নির্মিত প্রতিটি ঘরে দুটি করে কক্ষ, রান্নাঘর, টয়লেটও থাকবে। এছাড়া এ প্রকল্প এলাকায় উপকারভোগীরা পাচ্ছেন আলাদা মসজিদ-মন্দির, হাট-বাজার, বিদ্যালয়, কবরস্থান ও পুকুরসহ নাগরিক সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম বলেন, দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য সাড়ে ৩ শতাধিক শ্রমিক রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করছি, আগামী মে মাসের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শেষে ঘরগুলো উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা যাবে।