Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

বরবটি চাষে রঘুনাথপুরের সুরেশ মালাকারের ভাগ্যবদল

Icon

দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২২, ১৪:৫৫

বরবটি চাষে রঘুনাথপুরের সুরেশ মালাকারের ভাগ্যবদল

বরবটি চাষে সাফল্য পেয়েছেন কৃষক সুরেশ মালাকার। ছবি: গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুরে বরবটি চাষে বিরাট সাফল্য পেয়েছেন কৃষক সুরেশ মালাকার। কয়েক বছর ধরে তিনি মাচা পদ্ধতিতে এ সবজি চাষ করছেন। এবার বরবটি চাষে ফলন ও দাম পাচ্ছেন ভালো। এতে একদিকে তার ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে, অন্যদিকে তিনি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

ক্ষেতে মনের আনন্দে স্বামী, স্ত্রী মিলে কাজ করছেন। বাজারে বিক্রির জন্য মুঠো মুঠো ভরে তুলছেন বরবটি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ মৌসুমে লাখ টাকার বরবটি বিক্রির আশা তাদের। 

জানা গেছে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলাসহ ৫টি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সারা বছরই নানা জাতের সবজির চাষ হয়। অনেক আগে থেকেই রঘুনাথপুরে বরবটি চাষ শুরু হয়। রঘুনাথপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার সুরেশ মালাকার ১০ শতক জমির ঘেরপাড়ে মাচায় করে বরবটি চাষ করেন। এতে খরচের তুলনায় অনেক বেশি লাভ হবে তার। তার বরবটি চাষের পদ্ধতি অনুসরণ করে উপজেলাজুড়ে মাচায় বরবটি চাষ ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সুরেশ মালাকার আগামীতে আরো বেশি জমিতে বরবটি চাষ করবেন বলে জানান। এবছর বরবটি চাষে তার খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। 

এরই মধ্যে বিক্রি করেছেন প্রায় ৫ হাজার ৫০০ টাকার বরবটি। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রায় ১ লাখ টাকার বরবটি বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন। ওই গ্রামের সবজি চাষি বিশ্বজিৎ বালা, অভি বিশ্বাস, সুব্রত মন্ডল, শান্তি রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, মাচায় বরবটি চাষে লাভ বেশি। বর্তমানে বাজারে ৪০/৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বরবটি। রঘুনাথপুর গ্রামের কমপক্ষে ১০০ কৃষক বরবটি চাষ করছেন। 

ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি অফিসার প্রদীপ হালদার বলেন, এক বিঘা জমিতে বরবটি চাষে খরচ হয় ৮ থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা। জমিতে টিএসপি, এমওপি, বোরন ও শিকড়বর্ধক হরমোন দিতে হয়। চারা গজানের সঙ্গে সঙ্গে বাঁশের খুঁটি ও সুতা দিয়ে মাচা (বান) তৈরি করতে হয়। গাছে ফুল আসার ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে বরবটি ধরা শুরু হয়। বীজ বপনের ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে বরবটি উঠতে শুরু করে। 

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সেকেন্দার শেখ বলেন, রঘুনাথপুরের মাটি সবজি চাষের জন্য খুবই উর্বর। বিশেষ করে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে এখানকার কৃষকরা লাভবান হবেন। বরবটি একটি লাভজনক চাষ। এই চাষ করে এলাকার অনেকেই এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন। 

 জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. অরবিন্দু কুমার রায় বলেন, গোপালগঞ্জের সবজি চাষিরা এ বছর বরবটি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। এ চাষে বৃষ্টি কম হলে ভালো হয়। গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকলে গাছ সতেজ থাকে এবং ফলন ধরে বেশি। জেলায় বরবটি চাষে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য আমরা সব ধরনের পরামর্শ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫