রেলপথের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে আইকনিক এই রেলস্টেশন। ছবি: সংগৃহীত
দেশের একমাত্র আইকনিক রেলস্টেশন নির্মিত হচ্ছে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজাচান্দের পাড়ায়। ২৯ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা রেলস্টেশন ভবনটি ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭ বর্গফুটের। এখন ভবনের চারদিকে গ্লাস লাগানো ও ছাদের ওপর স্টিলের ক্যানোফি বসানোর প্রস্তুতি চলছে।
ভবনের ভেতরে চলছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র স্থাপন, ফায়ার ফাইটিং, স্যানেটারি, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিসহ নানা কাজ। মূল রেলস্টেশন ভবনের পূর্ব পাশে চলছে পথচারী সেতু ও প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজ।
২০২৩ সালের জুনের মধ্যে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে সরাসরি কক্সবাজারে আসবে স্বপ্নের রেল।
রেল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, স্বপ্নপূরণের পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের কাজ। গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে ৬৯ শতাংশ। ইতিমধ্যে কক্সবাজারের রামু, ঈদগাঁও, পেকুয়া ও চকরিয়া অংশে প্রায় ২৮ কিলোমিটার রেলট্রেক বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। দিন-রাত কাজ করছেন ১৫০ জন প্রকৌশলীসহ প্রায় ২ হাজার শ্রমিক। এছাড়া আইকনিক রেলস্টেশন ভবন, ছোট-বড় সেতু, কালভার্ট, লেভেল ক্রসিং ও হাইওয়ে ক্রসিংয়ের কাজও পুরোদমে চলছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শিশির মণ্ডল জানান, ছয়তলা রেলস্টেশনের মূল ভবনটির কাজ শেষ। এখন ভবনের চারদিকের গ্লাস ফিটিংস, ছাদের ওপর স্টিলের ক্যানোফি টানার প্রস্তুত চলছে। এগুলো চীন থেকে আমদানি হবে। পাশাপাশি ভবনের দরজা-জানালা ফিটিংস, টাইলস, স্যানিটারি, বিদ্যুতের লাইন ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র স্থাপনের কাজ চলছে।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেলওয়ে প্রকল্পের (আইকনিক স্টেশন বিল্ডিং) কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার মো. আবদুল জব্বার বলেন, ১০০ কিলোমিটারের নির্মাণাধীন রেলপথের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে আইকনিক এই রেলস্টেশন। যেখানে থাকছে তারকামানের হোটেল, শপিং মল, রেস্তোরাঁ, শিশুযত্ন কেন্দ্র, লকার বা লাগেজ রাখার স্থান। ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজারে নেমে পর্যটকরা লাগেজ, মালামাল স্টেশনে রেখে সারা দিন সমুদ্র সৈকত বা দর্শনীয় স্থান ঘুরে রাতের ট্রেনে আবার ফিরতে পারবেন নিজ গন্তব্যে।