
মামলার আসামিরা। ফাইল ছবি
ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত দুই ভাই এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার মামলার রায় আজ সোমবার (২৫ এপ্রিল)। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন বিচারক ছুটিতে থাকায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক পরবর্তী রায় ঘোষণার জন্য (২৫ এপ্রিল) দিন ধার্য করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম।
আসামিদের মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক। তুহিন জামিনে আছেন। অপর ছয় আসামি কারাগারে।
আওয়ামী লীগ নেতা এনু ও রুপনসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ-পাচারের অভিযোগে ১২টি মামলা রয়েছে।
২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর দুই ভাই এনু-রুপনের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে টাকা ও গয়না জব্দ করার পর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম ও এনুর বন্ধু হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে নগদ ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা, আট কেজি স্বর্ণালঙ্কার ও ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে র্যাব।
পরে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ দুই ভাই এনু ও রুপনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ওইসব ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, এনু ও রুপন দীর্ঘদিন ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে আসছেন। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালিত হলে তারা নিজেদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপন করতে কালামের বাসায় রেখেছিলেন। কালাম সেগুলো নিজের কাছে রাখেন, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অপরাধ।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ১১ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী। গত বছরের ৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।