বাজারে অপরিপক্ব লিচু। ছবি: রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীতে দেশীয় জাতের লিচুর এখন রং ধরতে শুরু করেছে। পুষ্ট হয়ে বাজারজাত উপযোগী হতে এখনো এক সপ্তাহ সময় লাগবে। কিন্তু এর আগেই অপরিপক্ব লিচুর দেখা মিলেছে রাজশাহীর বাজারে। যা চড়া দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশীয় জাতের লিচু বাজারজাত উপযোগী হতে এখনো অন্তত এক সপ্তাহ দেরি আছে। আর বোম্বায় জাতের লিচু বাজারজাত হতে সময় লাগবে অন্তত দু’ তিন সপ্তাহ। এর আগে লিচু বাজারে আসার কথা না। তবে যেটা বাজারে বিক্রি হচ্ছে তা ক্যামিকেল দিয়ে রং দেয়া হয়েছে, না সামান্য রং আসতেই বেশি লাভের আশায় বাজারজাত করা হচ্ছে এটা দেখতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাজশাহীর সাহেব বাজারে দেশি আগাম জাতের লিচু বিক্রি করতে দেখা গেছে। মধুমাসের ফল লিচু মিষ্টি ও রসালো হলেও বাজারজাতকৃত ওই লিচু টক বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। এর মধ্যে দাম চড়া। দেশি জাতের ছোট আকৃতির ১০০টি লিচু বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা। এছাড়া শরীরে একটু কালো দাগ পড়া লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা দরে।
ভরা মৌসুমে নগরীর সাহেববাজার, বিন্দুরমোড়, লক্ষ্মীপুর, স্টেশন ও শালবাগান বাজার ছাড়াও শিরোইল বাস টার্মিনাল সংলগ্ন বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে বাহারি এ ফলের পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এদিন প্রথমবারের মতো কেবল সাহেববাজার জিরোপয়েন্টের কয়েকটি দোকানে কিছু লিচু দেখা গেছে।
লিচু ব্যবসায়ী শামীম হোসেন জানান, লিচুকে অতিথি ফল বলা হয়। কারণ এই ফল বাজারে মাত্র এক থেকে দেড় মাস থাকে। এখন বাজারে লিচু ওঠেনি। এ কারণে লিচুর দাম বেশি। দুই সপ্তাহ পর লিচুর ভরা মৌসুম শুরু হবে। তখন প্রচুর পরিমাণে লিচু বাজারে আসবে। বাজারে দিনাজপুর ও রাজশাহীর লিচু এলেই দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে চলে আসবে।
এবিষয়ে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোসা. উম্মে ছালমা জানান, দেশী লিচু পরিপুষ্ট হয়ে ১০ মে থেকে এবং ২০ থেকে ২৫ মে বোম্বায় জাতের লিচু বাজারজাত শুরু হবে। এর আগে বাজারে লিচু আসার কথা না। আর আসলেও সেটা পরিপক্ব না। আর পরিপক্ব লিচুর তেমন স্বাদ নাই। আর যদি ক্যামিকেল ব্যবহার করা হয় তবে স্বাদ আসলেও স্বাস্থ্যগত ক্ষতি হতে পারে।