
গাবতলী বাস টার্মিনাল । ছবি: সংগৃহীত
ঈদযাত্রায় ভোগান্তি এড়ানোসহ নানা কারণে ঈদের আগে ঢাকা ছাড়তে পারেননি অনেকে। তাই পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে অনেকেই ঈদের দিন ঢাকা ছাড়ছেন।
মঙ্গলবার (৩ মে) সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, বাস কাউন্টারগুলো খোলা রয়েছে। যাত্রীর উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
ঈদের দিনে ঘরমুখো যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদযাত্রায় ভোগান্তি এড়াতে ঈদের আগে ঢাকা ছাড়েননি তারা। মাগুরা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন মো. বাদশা মিয়া নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে যাত্রীর প্রচুর চাপ থাকে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটেও জ্যাম থাকে। ঈদযাত্রা কষ্টকর হয়। এজন্য আগে যায়নি। এখন একটু আরামে যেতে পারবো।’
বৃদ্ধা দাদিকে নিয়ে মাগুরা যাবেন আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে টিকিট পাইনি। নানি বয়স্ক মানুষ। আবার বাচ্চাটাকে নিয়েও ঝামেলা। টিকিট ছাড়া রওনা করা ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য ঈদের দিন টিকিট নিয়েছি। আজ বাড়িতে যাচ্ছি।’
ঘরমুখো যাত্রীদের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন শো-রুম ও বিপণিবিতানে চাকরি করেন। সেখানে বেচাকেনা হয়েছে চাঁদরাতেও। ফলে ছুটি মিলেছে ঈদের দিন।
তাদেরই একজন ফরিদপুরের মো. ফজলুর রহমান। চাকরি করেন বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের একটি শো-রুমে। তিনি বলেন, ‘রাত তিনটা পর্যন্ত বেচাকেনা হয়েছে। মালিক ঈদের দিন ছুটি দিয়েছেন। তাই নামাজ পড়েই গ্রামে বাড়ি যাচ্ছি।’
এদিকে, ঈদের দিন যাত্রী পাওয়ায় খুশি পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার স্বপন চন্দ্র দাস বলেন, ‘আজকে ভালোই যাত্রী পাচ্ছি। নানা কারণে যারা ঈদের আগে বাড়িতে যেতে পারেননি। তারা আজ যাচ্ছে। আবার কিছু সৌখিন যাত্রীও আছে। যারা আরামে বাড়িতে যেতে চান, তারা আজ যাচ্ছেন।’