
ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকদের মিষ্টি কুমড়া চাষে আগ্রহ বাড়ছে। ছবি: ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ২১ টি ইউনিয়নে আকচা থেকে রুহিয়া পর্যন্ত এলাকাজুড়ে কেবল কাঁচা-পাকা মিষ্টি কুমড়ার দেখা মিলবে।
উপজেলার বড় খচাবাড়ি মহাসড়ক লাগোয়া হাটের মহাসড়কের পূর্ব-পশ্চিমপ্রান্ত ঘেঁষে প্রতিদিন সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কুমড়ার কেনাবেচা হয়।
জানা গেছে, স্থানীয় কৃষকরা অন্য ফসলের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে এসব কুমড়া চাষ করেন। আবার অনেক কৃষক কুমড়া এককভাবেও চাষ করেন। এবার স্বল্প ব্যয়ে মিষ্টি কুমড়ার ভালো ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
হাটে কুমড়া বিক্রি করতে আসা কৃষক আমজাদ হোসেন জানান, অনেক কৃষকই এ হাটে কুমড়া বিক্রি করতে আসেন। এ হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যাপারীরা ফসল কিনতে আসেন। চাহিদা অনুযায়ী তারা বিপুল সংখ্যক কুমড়াও কিনে থাকেন। এতে দামও তুলনামূলক ভালো পাওয়া যায়।
সবজি কৃষক সামসুর রহমান জানান, কুমড়া চাষ অনেক লাভজনক। অল্প ব্যয়ে ফলন বেশি পাওয়া যায়। সে অনুযায়ী লাভও ভালো হয়। এই ফসল চাষের সুবিধাজনক দিক হলো- এটি সাথী ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। এতে অন্য ফসলও হয়। আবার বাড়তি হিসেবে কুমড়াও হয়।
বুলু মিয়া নামে আরেক কৃষক জানান, তিনি আলুর জমিতে সাথী ফসল হিসেবে কুমড়া লাগিয়েছিলেন। আলু বিক্রি বেশ আগেই শেষ করেছেন। এখন জমিতে কুমড়া রয়েছে। সেই কুমড়া বাজারে বিক্রি করছেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, ঠাকুরগাঁও দিনদিন কুমড়ার চাষ বাড়ছে। এক্ষেত্রে কৃষকরা বর্তমানে বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের কুমড়া চাষকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। হাইব্রিড জাতের গাছ থেকে কুমড়ার বেশি ফলন বেশি পাওয়া যায়। একই সাথে সেসব কুমড়ার আকারর অনেক বড় হয়। আর বাজারে বড় আকারের কুমড়ার দামও বেশি পাওয়া যায়।
কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে গেছে, মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য এখানকার মাটি ও আবহাওয়া অত্যন্ত উপযোগী। এ কারণে এলাকায় অত্যন্ত স্বল্প খরচে কৃষকরা সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে আসছেন। মিষ্টি কুমড়ার ফলনও বেশি হয়। অবশ্য অনেক কৃষকই আবার এককভাবে এই ফসল চাষ করে থাকেন।
সময়ের ব্যবধানে ও প্রয়োজনীয়তা সামনে রেখে কৃষকরা এই জেলায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ দিনদিন বাড়াচ্ছেন। এক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ থেকেই কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান কৃষি কর্মকর্তারা।