পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় দুই প্রেমিকাকে একসাথে বিয়ে করে আলোচনায় এসেছিলেন রোহিনী চন্দ্র বর্মন (২৫)। কিন্তু বিয়ের মাত্র ২২ দিনের মাথায় দ্বিতীয় স্ত্রী মমতা রানীর সাথে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে তার।

গতকাল শনিবার (১৪ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মমতার ভাই পলাশ চন্দ্র রায়। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার (১২ মে) উভয়পক্ষের সম্মতিতে এই বিচ্ছেদ হয়।

তিনি বলেন, ‘দুই বিয়ের বিষয়টি আমরা আর বাড়াবাড়ি করতে চাই না। সমাজে এমনিতেই আমাদের অনেক কথা শুনতে হয়েছে। বোনের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের পরিবারের পক্ষে এ নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই।’

রোহিনীর বাবা যামিনী চন্দ্র বলেন, মমতা রানী স্বেচ্ছায় আমার ছেলেকে তালাক দিয়েছে। এতে আমরা অমত করিনি।

এর আগে, গত ২০ এপ্রিল রাতে আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষীদ্বার এলাকার রোহিনী তার বাড়িতে ইতি রানী (২০) ও মমতা রানী (১৮) নামে দুই প্রেমিকাকে একসাথে বিয়ে করেন।

বলরামপুর ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে ইতি সাথে রোহিনীর প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এক পর্যায়ে তারা মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন দুজনই। এর মধ্যে নতুন করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন লক্ষীদ্বার গ্রামের টোনো কিশোরের মেয়ে মমতার সাথে। 

মমতার সাথে গত ১২ এপ্রিল রাতে দেখা করতে যান রোহিনী। সেখানে দুজনকে একত্রে দেখে ফেলেন মমতার পরিবারের লোকজন। আটকে রাখেন রোহিনীকে। পরে ১৩ এপ্রিল বিয়ের ব্যবস্থা করেন তাদের।

অন্যদিকে, রোহিনীর বিয়ের খবর শুনে তার বাড়িতে অনশন শুরু করেন ইতি। পরে ২০ এপ্রিল রাতে রোহিনীর বাড়িতে পুনরায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুইজনের সাথে বিয়ে একসাথে সম্পন্ন হয়।

বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিচ্ছেদের বিষয়ে এখনো দুই পক্ষের কেউ কিছু জানায়নি। তবে লোকমুখে শুনছি মেয়েটা নিজেই নাকি ছেলেকে তালাক দিয়েছেন।