Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

আবারো রাঙ্গামাটি আ.লীগের সভাপতি দীপংকর, সম্পাদক মুছা

Icon

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২২, ১৯:১৪

আবারো রাঙ্গামাটি আ.লীগের সভাপতি দীপংকর, সম্পাদক মুছা

সভাপতি দীপংকর তালুকদার, সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর। ছবি: রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

দীর্ঘ ১ দশক পর অনুষ্ঠিত রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আবারো সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা আওয়ামী সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। এতে করে ১৯৯৬ সাল থেকে টানা ২৬ বছর সভাপতির দায়িত্বপালনকারী দীপংকর তালুকদার পুনরায় একই দায়িত্বে আসীন হয়েছেন। 

অন্যদিকে, কাউন্সিলরদের ভোটাভুটিতে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন হাজী মো. মুছা মাতব্বর। এতে করে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হলেন জেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা।

রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন কাউন্সিল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। দায়িত্বশীল আওয়ামী লীগ নেতারা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘ এক দশক পর অনুষ্ঠিত হওয়া এই সম্মেলনে মূলত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক চারজনই ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দীপংকর তালকুদার এবং সহ-সভাপতি নিখিল কুমার চাকমা। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর এবং বর্তমান সহ-সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মো. কামাল উদ্দিন।

সবশেষ রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর। দীর্ঘসময় পর ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের ডাক দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু এই উদ্যোগও বৃথা যায়। কেন্দ্রীয় নেতা ও সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথিরা ওইদিন ‘সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না’ সে কারণ দেখিয়ে পেছানো হয় সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে চার ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নড়েচড়ে বসেছে জেলার তৃণমূল আওয়ামী রাজনীতি। 

সভাপতি পদপ্রার্থী দীপংকর তালুকদার রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সদস্য। আরেক সভাপতি প্রার্থী নিখিল কুমার চাকমা রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান। এর আগে নিখিল কুমার চাকমা রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। 

অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হাজী মো. মুছা মাতব্বর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য। মুছা এর আগে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। আরেক সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হাজী মো. কামাল উদ্দিন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য। কামাল উদ্দিন এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

আজ মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল ১০টায় রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের এবারের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন এমপি।

অন্যান্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল-আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. সিরাজুল মোস্তফা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সংরক্ষিত নারী আসনের খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা এমপি।

এদিকে সম্মেলনের শুরুতে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলনের প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের এমপি৷ 

এসময় তিনি বলেছেন, ভূমি সমস্যা ছাড়া পাহাড়ের সব সমস্যার সমাধান হয়েছে। 

পদ্ম সেতু প্রসঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মাসেতু হয়ে গেছে। আগামী জুন মাসেই উদ্বোধন। মানুষ খুশি, সারাবাংলার মানুষ আনন্দে উল্লাসিত। শুধুমাত্র ফখরুল এবং বিএনপি, তাদের বুকে বড় ব্যথা। তাদের বুকে বড় বিষজ্বালা। এই জ্বালাতে তারা দিশেহারা।

দুপুরে প্রথম উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে বিকেল তিনটায় শুরু হয় দ্বিতীয় অধিবেশন কাউন্সিল। এই অধিবেশনে ‘সিলেকশনে’ আবারো সভাপতি হন দীপংকর তালুকদার। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে কাউন্সিলরদের ভোটাভুটিতে ১৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন হাজী মো. মুছা মাতব্বর। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হাজী মো. কামাল উদ্দিন পেয়েছেন ১০২ ভোট। নষ্ট হয়েছে এক ভোট। সে হিসেবে ভোট পড়েছে ২৪১টি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫