
বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির ফার্মেসি অনুষদ
বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) ফার্মেসি অনুষদের চুক্তিভিত্তিক এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের সমকামিতার প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ অভিযোগে ওই শিক্ষককে সামকিয়ভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ মে) আইএইচটি অধ্যক্ষ ডা. মানস কৃষ্ণ কুন্ডু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক মিজানুর রহমানকে প্রথমে হোস্টেলের সহকারী সুপার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইনস্টিটিউট থেকেও সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অভিযোগের বিষয়টি তদন্তে ইন্সট্রাক্টর আব্দুস সাত্তারকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
অধ্যক্ষ বলেন, মিজানুর রহমান আমার কোয়ার্টারেই থাকতেন। তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং কোয়ার্টারে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর সমকামিতার লিখিত অভিযোগ করেন আইএইচটির এক ছাত্র। তাছাড়া গত মঙ্গলবার অধ্যক্ষ বরাবর মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছেন অপর একছাত্র।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরাবর পাঠানো অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষক মিজানুর রহমান নানাভাবে ভয় দেখিয়ে সমকামিতার প্রস্তাব দিতেন। শুধু তাকে নয়, অনেক ছাত্রকেই তিনি এমন প্রস্তাব দিয়েছেন। কলেজের ছাত্রনেতাদের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস করেন না। তিনি আমার সাথে মেসেঞ্জারে কথোপকথনে একাধিকবার আমাকে সমকামিতার প্রস্তাব দিয়েছেন।
ওই ছাত্রের অভিযোগের সাথে সংযুক্ত আট পৃষ্ঠার প্রিন্ট করা মেসেঞ্জারের কথোপকথনে ওই ছাত্রকে অনেকবার শিক্ষক মিজানুর রহমানকে তার রুমে ডাকার পাশাপাশি সমকামিতার প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে।
তবে সমকামিতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমি কিছুই করিনি। আমার আইডি হ্যাক হয়েছিল। থানায় ডায়রিও করেছি। আমাকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। আশা করছি তদন্ত কমিটির তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে।