Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

১১ বছর ধরে তিস্তা চুক্তি আটকে থাকার বিষয়টি লজ্জার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২২, ১১:৪৪

১১ বছর ধরে তিস্তা চুক্তি আটকে থাকার বিষয়টি লজ্জার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

চলতি মাসে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে যৌথ কমিশনের একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে আগামী জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত নিশ্চিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে ফের আলোচনায় উঠেছে তিস্তা চুক্তি।

এই চুক্তির বিষয়ে ভারতের সমালোচনা করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ১১ বছর ধরে তিস্তা চুক্তি আটকে থাকার বিষয়টি লজ্জাজনক।

গতকাল রবিবার (২৯ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেছেন। 

তিনি আরো বলেন, ভারতের সাথে যৌথভাবে আমাদের ৫৪টি নদী রয়েছে। আমরা সব নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনায় ভাগাভাগি ও একসাথে কাজ করতে আগ্রহী। উভয়পক্ষের পুরো অববাহিকা এলাকার মানুষের মঙ্গলের জন্য যৌথ ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এটি একটি লজ্জার বিষয়, আমরা প্রস্তুত ছিলাম, ভারত প্রস্তুত ছিল, তবুও চুক্তি হয়নি। ভবিষ্যতে পানির জন্য বড় ধরনের হাহাকার হবে এবং আমাদের এর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

তিস্তা নদী তিস্তা কংশে হিমবাহে উৎপন্ন হয়েছে এবং বাংলাদেশে প্রবেশের আগে সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ১৯৪৭ সাল থেকে তিস্তার ক্যাচমেন্ট এলাকাগুলো ভারতকে বরাদ্দ করার পর থেকে এটি দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।

২০১১ সালে তিস্তার পানি ৩৭.৫ শতাংশ বণ্টন করতে রাজি হয়েছিল ভারত। আর ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে পানি স্বল্পতার মৌসুমে ৪২.৫ শতাংশ পানি ধরে রেখেছিল দেশটি। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতার কারণে চুক্তিটি কখনই হয়নি। এছাড়া সিকিমের তিস্তা বরাবর বাঁধ নির্মাণের ফলে বাংলাদেশে পানি স্বল্পতার মৌসুমে আরো কম পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আসাম ও বাংলাদেশ একই সময়ে বন্যার সম্মুখীন হয়েছে। আমাদের পানি নিষ্কাশনের প্রযুক্তির বিষয়ে আরো সহযোগিতা করতে হবে। 

তিনি আরো বলেন, আমাদের যৌথভাবে বন্যার আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনা উভয় দেশের জন্যই লাভজনক।

এদিকে, তিস্তা নদীর ওপর ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়ে আলোচনা করছে বলে গণমাধ্যমে অনেক গুঞ্জন রয়েছে। 

এ বিষয়ে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের কাছে এখনো তিস্তা নিয়ে চীনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব আসেনি। এটা কিভাবে সামনের দিকে আগায় সেটি আমাদেরকে দেখতে হবে। কারণ তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যা সমাধানে এখন পর্যন্ত ভারত তেমন কিছুই করেনি। সে কারণেই চীন যদি কোনো লাভজনক প্রস্তাব নিয়ে আসে তাহলে সেটি নিয়ে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫