
ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্য। ফাইল ছবি
অর্থ আত্মসাতের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ট্রাস্টিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।
আজ সোমবার (৩০ মে) দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দুদক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। তাদের মধ্যে রেহানা রহমান, এম এ কাশেম, মোহাম্মদ শাহজাহান ও বেনজীর আহমেদ উচ্চ আদালতে আগাম জামিন আবেদন করেন। গত ২২ মে শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কাজী মো. ইজহারুল হকের দ্বৈতবেঞ্চ তাদের পুলিশে সোপর্দ করেন। একদিন পর দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ইমরুল কায়েস চার ট্রাস্টিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী জানান, চার জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
দুদকের মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হলো প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। ট্রাস্টি বোর্ডের ছয় সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকারের সুপারিশ-অনুমোদনকে পাশ কাটিয়ে ক্যাম্পাস স্থাপনের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির ক্রয় মূল্য বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অপরাধজনকভাবে গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেছেন। আসামিরা কম দামে কেনা জমি বেশি দাম দেখিয়ে প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজস্ব লোকজনের মাধ্যমে নগদ চেকে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন।