২০২১ সালের ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধন করেন। তবে করোনাভাইরাস মহামারিসহ নানা কারণে শুরু হয়নি চলাচল।

এর ১৪ মাস পর আজ বুধবার (১ জুন) মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন অনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হচ্ছে। ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আজ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। সেখানে যোগ দিতে বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ভারতে অবস্থান করছেন। তিনি ও ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে ট্রেনটির ভার্চুয়াল ফ্ল্যাগ অফ করবেন।

এর আগে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসিম কুমার তালুকদার জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ-ভারতের ভিসাসহ অন্যান্য জটিলতার অবসান হওয়ায় আগামী পহেলা জুন থেকে মিতালী এক্সপ্রেস যাত্রীবাহী ট্রেনটি ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে ভারত সীমান্তের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন হয়ে বাংলাদেশের নীলফামারীর চিলাহাটি হয়ে ঢাকা ক্যান্টমেন্ট পর্যন্ত চলাচল করবে। 

ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সপ্তাহে দুইদিন রবিবার ও বুধবার ছেড়ে আসবে। আর ঢাকা ক্যান্টমেন্ট থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত সপ্তাহে সোমবার ও বৃস্পতিবার চলাচল করবে। ট্রেনে রংপুর বিভাগের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের জন্য দুটি কোচ বরাদ্দ রয়েছে। 

নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের মধ্যে ৫১৩ কিলোমিটার যেতে ট্রেনটির সময় লাগবে ৯ ঘণ্টা। এটি একটি ডিজেল ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত হবে এবং এতে চারটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন কোচ ও চারটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার থাকবে।

‘মিতালি এক্সপ্রেস’ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে বেলা ১১.৪৫ টায় ছাড়বে এবং বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা পৌঁছবে। এটি ভারতের দিকের শেষ স্টেশন হলদিবাড়িতে ও বাংলাদেশের দিকে প্রথম স্টেশন চিলাহাটিতে চালক পরিবর্তনের জন্য শুধুমাত্র ১০ মিনিটের জন্য থামবে। এছাড়া এটির আর কোনো বিরতি নেই।

ফিরতি যাত্রার সময় মিতালি এক্সপ্রেস সপ্তাহে দুইদিন সোম ও বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাস থেকে নিউ জলপাইগুঁড়ি চলবে। ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থেকে রাত ৯ টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি আবারও ভারতের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। পরদিন চিলাহাটি পৌঁছুবে ভোর পৌনে ৬টায়। ভারতীয় সময় সকাল ৬টা ৫ মিনিটে ট্রেনটি হলদিবাড়ি যাবে, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে সকাল সোয়া ৭টায়।

ট্রেনে চারটি এসি বার্থ ও চারটি এসি চেয়ার কোচ থাকবে। এছাড়া ব্রেকভ্যানসহ দুটি পাওয়ার কারও রয়েছে। সব মিলিয়ে ‌১০টি কোচ থাকবে। সেখানে ১৪৪ এসি সিট, ৩১২ এসি চেয়ার এবং ৯৬টি এসি বার্থ থাকছে। ট্রেনের ভাড়া এসি বার্থ ৫ হাজার ২৫৫, এসি সিট ৩ হাজার ৪২০, এসি চেয়ার ২ হাজার ৭৮০ টাকা।