
হাইকোর্ট বিভাগ
পলাতক কোনো আসামির মামলা শুনবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এমন মামলা আনলে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালত বলেন, পলাতক যেই হোক তার মামলা আনবেন না।
মামলা বাতিলের আবেদনের সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান আইনের দৃষ্টিতে পলাতক ছিলেন মর্মে আপিল বিভাগের রায়ের অনুলিপি হাইকোর্টে জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রবিবার (৫ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চে রায়টি জমা দেন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। এসময় হাইকোর্ট এ মন্তব্য করেন।
খুরশীদ আলম আদালতকে জানান, কাফরুল থানার যে মামলায় জুবাইদা রহমানকে আপিল বিভাগ পলাতক বলছেন, সেই মামলায় এ বেঞ্চে তারেক রহমানের দুটি এবং জুবাইদা রহমানের একটি রিট আবেদনের ওপর রুল শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এ কারণে আপিল বিভাগের রায়টি জমা দিয়েছি।
এর এক পর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘পলাতক কোনো আসামির মামলা আমরা শুনবো না। এমন মামলা আনলে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হবে।’
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করা হয়। মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
পরে একই বছরে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী পৃথক আবেদনে এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন।