
গাজীপুরে নামে মিল থাকায় আসামির পরিবর্তে গ্রেফতার হওয়া রফিকুল ইসলাম অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
গাজীপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মীর রকিবুল হক বলেন, ‘গাজীপুর জেলা বন আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ নাজমুন্নাহার বৃহস্পতিবার রফিকুল ইসলামকে মুক্তির আদেশ দেন। এর আগে বুধবার ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশের কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন চায় আদালত। মামলার সঙ্গে চা বিক্রেতা রফিকুলের কোনো সম্পর্ক নেই মর্মে থানা পুলিশ প্রতিবেদন জমা দিলে বৃহস্পতিবার আদালত মুক্তির আদেশ দেন।’
গাজীপুর জেলা কারাগারের জেলার গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আদলতের আদেশের কপি পাওয়ার পর সম্ভাব্য সব ধরনের যাচাই-বাছাই করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রফিকুলকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। স্বজনরা কারা গেট থেকে তাকে নিয়ে যান।’
গত ১৭ জানুয়ারি বিকেলে শ্রীপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কফিল উদ্দিন রফিকুল ইসলামকে চায়ের দোকান থেকে গ্রেফতার করেন।
মামলার প্রকৃত আসামির জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী নাম রফিকুল ইসলাম, জন্ম ১৬ জানুয়ারি ১৯৮০, বাবার নাম নূর মোহাম্মদ, মায়ের নাম রহিমা খাতুন। অপরদিকে গ্রেফতার হওয়া চা বিক্রেতার জন্ম ২ এপ্রিল ১৯৭৭, বাবার নাম নূর মোহাম্মদ এবং মায়ের নাম জামিনা খাতুন।
শ্রীপুর বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, লাইসেন্সবিহীন করাতকলে গজারি গাছের কাঠ কাটার অভিযোগে ২০১৫ সালের ৮ জুলাই মামলা হয়। মামলা করেন শ্রীপুর সদর বন বিট অফিসার সহিদুর রহমান। আসামি করা হয় কেওয়া পশ্চিমখণ্ডের বেগুনবাড়ি এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে রফিকুল ইসলামকে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বন) আদালতে এই মামলা হয়। এ মামলায় রফিকুলের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে শ্রীপুর থানাকে গ্রেফতারের নির্দেশ পাঠানো হয়।
অপরদিকে এই মামলার প্রকৃত আসামি নূর মোহাম্মদের ছেলে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি করাতকলের ব্যবসা করি। মামলাটি আমার বিরুদ্ধেই করা হয়েছিল। উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া জামিনে আমি বাইরে আছি।’