-5e29b4722d01e.jpg)
শিক্ষা অফিসারকে শিক্ষকদের ঘেরাও
ঠাকুরগাঁওয়ে
জাতীয়করণে অন্তর্ভুক্ত হওয়া নতুন শিক্ষকদের কাছে এক সপ্তাহের মধ্যে পরপর দুটি নোটিশ
দিয়ে ১৫ প্রকারের তথ্য ও কাগজ চেয়ে হয়রানি করায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে
ঘেরাও করেছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতি ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা।
বৃহস্পতিবার
(২৩ জানুয়ারি) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জাতীয়করণ হওয়া নতুন ২০৭টি বিদ্যালয়ের
৮ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষা অফিসারকে ঘণ্টাব্যাপী ঘেরাও করে রাখেন।
জানা
যায়, ২০১৩ সালে সদর উপজেলার ২০৭টি রেজিস্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে
জাতীয়করণ করা হয়। ঐসময় প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়োগ যোগদানসহ অন্যান্য
তথ্যাদি দাখিল করা হলেও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গত ১৫ জানুয়ারি এক
নোটিশে জাতীয়করণে অন্তর্ভুক্ত হওয়া নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ যোগদান ও শিক্ষার সনদপত্র
চায়। যথারীতি শিক্ষকরা তা দাখিল করেন। এদিকে গত ২১ জানুয়ারি ২য় দফা নোটিশে সকল
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির প্রথম রেজুলেশন,নিয়োগ
বিজ্ঞপ্তির কপি,লিখিত-মৌখিক পরীক্ষার চূড়ান্ত রেজুলেশন,সর্বশেষ
এমপি কপি, উপজেলা শিক্ষা কমিটির অনুমোদন কপি সহ ১১ প্রকারের তথ্য ও কাগজ চেয়ে
২৬ জানুয়ারির মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়। এতে শিক্ষকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়েন এবং
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘেরাও করে বর্ণিত কাগজপত্র দাখিলের
কারণ জানতে চায়।
জবাবে
দুদকের অনুসন্ধানের স্বার্থে তা চাওয়ার কথা জানালে শিক্ষকরা তা দাখিলে অপারগতা
প্রকাশ করেন। এসময় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির জেলা শাখার সাধারণ
সম্পাদক শামসুল আলম, সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুফিয়ান সিদ্দিক খান, সদস্য
আব্দুল মান্নান সহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষক
নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পরে সরকার সারা দেশেরে ন্যায়
সদর উপজেলার ২০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন। শিক্ষকদের হালনাগাদ তথ্য
যাচাই বাছাই শেষে তাদের গেজেট প্রকাশ করা হয় এবং তারা সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করে
আসছেন। কাজেই জাতীয় করণের ৭ বছর পর কোন ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা পুরাতন
কাগজপত্র দাখিলে বাধ্য নই। এতে আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি, সেই সাথে
বর্ণিত তথ্য দাখিলে অপারগতা প্রকাশ করেছি।
এ
বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লায়লা শিক্ষকদের জানান, দুর্নীতি
দমন কমিশন দিনাজপুর কার্যালয়ের এক পত্রের প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের কাছে বর্ণিত
কাগজপত্র আবারো চাওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে তিনি শিক্ষকদের হয়রানি না করার
প্রতিশ্রুতি দেন।