বাড়ি থেকে অনলাইনে স্বাস্থ্যসেবা পাবেন গ্রামবাসী : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২২, ১৪:৩৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
গ্রামীণ মানুষজন যেন ঘরে বসে চিকিৎসা পায় সে জন্য সরকার উপজেলাগুলোতে অনলাইন বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সুযোগ তৈরি করছি যেন রোগীরা তাদের নিজ অবস্থান ও উপজেলায় থেকে বিশেষায়িত চিকিৎসা পেতে পারে।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে এই সুবিধা তৈরি করেছে, এটি আরো উন্নত করার পরিকল্পনা রয়েছে যাতে রোগীদের ঢাকায় আসতে না হয়। বরং তারা নিজ এলাকায় অবস্থান করে বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারে।
আজ সোমবার (৬ জুন) রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও ১৪তম সমাবর্তনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রতিটি উপজেলা হাসপাতালে ওয়েব ক্যামেরা স্থাপন করেছে। আমরা ওয়েব ক্যামেরার মাধ্যমে অনলাইন পরিষেবা আরো উন্নত করবো। আমরা এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি যেন রোগীরা অনলাইনে বিশেষায়িত চিকিৎসা নিতে পারে।
সেবার ব্রত নিয়ে চিকিৎসকদের মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ওষুধের থেকেও ডাক্তারের দুটো কথায় রোগীকে অনেক ক্ষেত্রে সুস্থ করে তোলে। তাদের ভেতরে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করে। সেই বিষয়টার দিকেও একটু বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। শুধু পেশা হিসেবে না, আপনারা মানবতাবোধ নিয়ে মানুষের পাশে থাকবেন।
তিনি বলেন, আমি সব সময় গবেষণায় গুরুত্ব দেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানেও গবেষণা বাড়াতে হবে। গবেষণাটা একান্ত প্রয়োজন। এদিকে নজর দিতে হবে সবার। এক্ষেত্রে যত ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন, আমার পক্ষ থেকে পাবেন।
তিনি আরো বলেন, ক্ষমতাটা আমার কাছে একটা সুযোগ মানুষের সেবা করার। ভোগ বিলাসে মত্ত থাকা নয়। আপনারাও যে যেই পেশায় থাকেন, সেখানে সেবা দেন। এতেই আনন্দ পাবেন। আমরা শিক্ষাসহ সব দিক দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, হাঁচি-কাশি হলেও অনেকে বিদেশ চলে যায়। কিন্তু করোনাভাইরাসের সময় তো বিদেশে যেতে পারে নাই। তাদের অনেকেই মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশেও এত সুন্দর আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল আছে, জানতামই না। তারা যে এই শিক্ষাটা পেয়েছে, এজন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।
বিসিপিএসের সভাপতি অধ্যাপক কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিসিপিএস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সুবর্ণজয়ন্তী স্মারক ও সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিপিসিএস সভাপতির কাছ থেকে স্মারক ও ফেলোশিপ সনদ গ্রহণ করেন।
বিসিপিএসের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এবং প্রতিষ্ঠানটির জ্যৈষ্ঠ সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বিসিপিএসের অনারারি সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. বিল্লাল আলম ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের বিদেশি প্রতিনিধিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিসিপিএস ফেলোদের হাতে স্বর্ণপদক এবং দেশি-বিদেশি বিশিষ্টজনের কাছে সম্মানসূচক ফেলোশিপ তুলে দেন।