
নিহত রমজানুল ইসলাম রনি (২৫)। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে নিহত ১০ ফায়ার সার্ভিসকর্মীর মধ্যে একজন শেরপুরের কৃতি সন্তান রমজানুল ইসলাম রনি (২৫)। তার মরদেহ এখনো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে। রনির মৃত্যুর খবরে তার বাড়ি ও শেরপুর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গতকাল রবিবার (৫ জুন) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে রনির নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হয় তার পরিবার।
ফায়ার সার্ভিস ও নিহত রনির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (৪ জুন) রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার খবর পেয়ে অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে যান রমজানুল ইসলাম রনি। সে সময় ডিপোতে বিস্ফোরণ হলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন রনি।
জানা গেছে, ঘটনার দিন রাত ১০ টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে বাসা থেকে গেঞ্জি পড়েই উদ্ধারকাজে বেড়িয়ে পড়েন রনি। হাসপাতালের মর্গে গেঞ্জি দেখে রনির মরদেহ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী রূপা খাতুন। মৃত্যুর খবর পেয়ে রনির মা কামরুন্নাহার রত্না ও জ্যাঠা আবুল কাশেম চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
রমজানের চাচা স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. জামান মিয়া জানান, দেড় বছর আগে ফায়ার সার্ভিসের চাকরিতে ফায়ার ফাইটার হিসেবে যোগ দেন রনি এবং তিন মাস আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে তার বদলি হয়। আট মাস ধরে স্ত্রীকে নিয়ে সীতাকুণ্ডে বসবাস করে আসছেন তিনি।
রনি শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের বালুঘাটা গ্রামের দলিল লেখক আকরাম হোসেন আঙুরের দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে। তিনি সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ার ফাইটার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।