Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

ময়লা-আবর্জনায় সয়লাব সমুদ্রসৈকত

Icon

তাহজীবুল আনাম, কক্সবাজার

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২২, ১৬:০১

ময়লা-আবর্জনায় সয়লাব সমুদ্রসৈকত

সৈকতের নানাস্থানে প্লাস্টিকের বর্জ্যসহ বিভিন্ন আবর্জনা ও দুর্গন্ধে ভরপুর। ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি

বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ময়লা-আবর্জনায় সয়লাব হয়ে পড়েছে। কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, চিপসের প্যাকেট থেকে শুরু করে নানা ধরনের প্লাস্টিক বর্জ্য, কাচের বোতল, ছেঁড়া জুতা, ছেঁড়া জালসহ নানা আবর্জনা।

ঢেউয়ের আঘাতে এসব বর্জ্য আটকা পড়ছে বালুচরে। এছাড়াও সৈকতের বিভিন্ন স্থানে গরু ও বেওয়ারিশ কুকুর চলাফেরা করতেও দেখা গেছে। যা দেখে পর্যটকরা রীতিমতো অস্বস্তি ও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। 

ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে আসা পর্যটক দম্পতি আহসান হাবিব ও শাহিনা ইয়াসমিন বলেন, কক্সবাজার আমাদের পছন্দের একটি জায়গা। এখানে আসার প্রথম এবং প্রধান আকর্ষণ হলো সমুদ্রসৈকত দেখা। এর আগেও বহুবার কক্সবাজারে। সমুদ্রে নেমে মনের আনন্দে ঘোরাঘুরি ও গোসল করেছি; কিন্তু এবার সেই আনন্দ পাচ্ছি না। কারণ সৈকতের নানাস্থানে প্লাস্টিকের বর্জ্যসহ বিভিন্ন আবর্জনা ও দুর্গন্ধে ভরপুর। এ কারণে নষ্ট হয়ে গেছে সমুদ্রের পরিবেশ। 

কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আইন অনুষদের শিক্ষার্থী সাইদ আনোয়ার ও সাদেক মাহমুদ শিমরান জানান, অনেক সময় সৈকতের বিভিন্ন স্থানে বেওয়ারিশ কুকুর ও গরু চলাফেরা করতে দেখা যায়। এসব বিষয় পর্যটকদের কাছে যেমন অপছন্দনীয়, তেমনি সৈকতের পরিবেশের জন্যও হুমকিস্বরূপ। 

বিচ কর্মী মোহাম্মদ সিফাত বলেন, বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে এসব বর্জ্য হোটেলের বিভিন্ন ডাস্টবিন থেকে উঠে এসেছে। আবার কিছু কিছু পর্যটক খাবার খেয়ে এসব ময়লা সরাসরি সৈকতের বালিয়াড়িতে ফেলছেন। 

বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, সমুদ্রসৈকতের আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য আমাদের যথেষ্ট কর্মী রয়েছে। বিচ কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া আছে যেন প্রতিদিন সমুদ্রের আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে। এ বিষয়ে আমি খবর নিয়ে দেখছি। সৈকতের পরিবেশ নোংরা হলে খুবই খারাপ দেখা যায়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫