আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে, আপাতত ভয়ের কিছু নেই : সেনাবাহিনী

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২২, ১২:৩১

সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিং করছেন লে. কর্নেল মো. আরিফুল ইসলাম হিমেল। ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন ৬১ ঘণ্টা পর প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। এই ডিপো থেকে আর কোনো বড় ধরনের বিপদ হওয়ার আশঙ্কা নেই বলেও জানান তারা।
আজ মঙ্গলবার (৭ জুন) সকালে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে একথা জানান সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের আরবান রেসকিউ অ্যান্ড সার্চ টিমের সদস্য ও কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মো. আরিফুল ইসলাম হিমেল।
তিনি বলেন, আপাত দৃষ্টিতে ভয়ের আর কিছু নেই। বিপজ্জনক আর কিছু আছে কি না এটা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। স্পেশালিস্টরা আছেন, তারা দেখছেন। তাদের কাছ থেকে আমরা একটা ফাইনাল রিপোর্ট পাবো। তাদের কাছ থেকে জানতে পারবো আর কোনো বিপদ হওয়ার সম্ভবনা আছে কি না।
তিনি আরো বলেন, আমরা বলতে পারি আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে, এখন ধোঁয়া বের হচ্ছে। কনটেইনারে কাপড়ের জিনিসপত্র আছে, ওই জিনিসগুলোতে যখন পানি দেওয়া হচ্ছে তখন ধোঁয়া বের হচ্ছে। আপাত দৃষ্টিতে ভয়ের কিছু নেই বলে আমি মনে করি।
এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডিং অফিসার বলেন, এখানে হতাহত যাতে আর না ঘটে সেটাকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি। আরেকটু সময় নিচ্ছি যাতে আর কোনো হতাহতের ঘটনা না হয়। যেসব কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে সেগুলোর আশে পাশে আমরা কম যাচ্ছি, কম যেতে দিচ্ছি। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন কম যাচ্ছে কারণ আমরা আর কোনো হতাহত চাই না। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে, আর যাতে না বাড়ে।
তিনি আরো বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লেগেছে। কারণ এলাকাটা অনেক বড়। প্রায় ২৬ একর জায়গায় ডিপোটি। এখানে কনটেইনারের সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি। কনটেইনারগুলো একটির পর আরেকটি লাগানো ছিল। কনটেইনারগুলো নিচে নামিয়ে কাজ করতে সময় লাগে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে বলে উল্লেখ করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিমেল।
আগুন নিয়ন্ত্রণে গত রবিবার (৫ জুন) থেকে কাজ করছে সেনাবাহিনীর একটি টিম।
গত শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় রাসায়নিক থাকা একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
এ অগ্নিকাণ্ডের এখন পর্যন্ত ৯ ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন চার শতাধিক।