Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

ফায়ার ফাইটার রনির মরদেহ আনতে টাকা দিতে হয়েছে

Icon

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২২, ১৬:২০

ফায়ার ফাইটার রনির মরদেহ আনতে টাকা দিতে হয়েছে

ফায়ার ফাইটার রমজানুল ইসলাম রনি। ছবি : শেরপুর প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া শেরপুরের ফায়ার ফাইটার রমজানুল ইসলাম রনির মরদহে আনতে হাসপাতালে টাকা দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার ভাই তরিকুল ইসলাম রকি (২৫)।  

আজ মঙ্গলবার (৭ জুন) সকালে রনির মরদেহ শেরপুরের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এলে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রকি বলেন, আমার ভাই রনি দেশের জন্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মারা গেলেন। অথচ হাসপাতালে আমার মা’সহ আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। কেউ আমাদের সহযোগিতা করেনি। বরং অজ্ঞাতনামা থেকে সঠিক নাম-পরিচয়ে তালিকাবদ্ধ করতে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টাকা চেয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পর ডোমকেও টাকা দিতে হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ বের করতে দেরি করেছেন তারা। মরদেহ প্যাঁচানোর জন্য পলিথিনও কিনতে হয়েছে আমাদের। এজন্য মরদেহ হাসপাতাল থেকে বের করতে আমাদের সন্ধ্যা হয়ে গেছে।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, এমন কোনো অভিযোগ এখনো কেউ করেনি। লাশঘরের দায়িত্বে যারা থাকে, তারা দিনরাত কাজ করছে। অনেক চাপের মধ্যে তাদের কাজ করতে হয়েছে।

রনির লাশবাহী গাড়ি আজ ভোরে শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের বালুঘাটা গ্রামে প্রবেশ করে। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীয় জনগণ ভিড় করে নিহতের বাড়িতে।

এরপর সকাল ৯টায় শেরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তারা তাকে গার্ড অব অনার ও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। সকাল ১০টায় ফায়ার ফাইটার রনির রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়। 

রনি দেড় বছর আগে ফায়ার সার্ভিসে যোগ দেন। তিন মাস আগে তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে বদলি হন। আট মাস আগে বিয়ে করে স্ত্রী রুপাকে নিয়ে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাছেই বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫