Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

যেভাবে একটি ভূমি অফিসের চিত্র পাল্টে গেল

Icon

আজিজুর রহমান পায়েল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২২, ১৫:৩৬

যেভাবে একটি ভূমি অফিসের চিত্র পাল্টে গেল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসাইন। ছবি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

দালালের দৌরাত্ম্য, দিনের পর দিন হয়রানি, বাড়তি টাকা আদায়, ভূমি অফিস নিয়ে সেবা গ্রহীতাদের এসব নেতিবাচক ধারণা পাল্টে দিয়েছেন একজন সহকারী কমিশনার (ভূমি)।

যোগদানের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে সাড়ে সাত হাজার নামজারি ও ২০০ মিসকেস নিষ্পত্তি করে তাকে লাগিয়ে দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসাইন। যেখানে নিজের জমি খারিজ করতে সময় লাগত ছয় মাস থেকে এক বছর, সেই খারিজ সম্পূর্ণ করতে এখন সময় লাগে মাত্র ২৮ দিন। 

নবীনগর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের চিরচেনা জটিলতা দূর করে দিয়েছেন এই এক কর্মকর্তা। এমনকি এই কার্যালয়কে জেলার মধ্যে সবচেয়ে ডিজিটাল ও আধুনিক করে গড়ে তুলেছেন তিনি। এ জন্য চলতি বছর ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাকে জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সম্মাননা দেওয়া হয়। গত বছরের (২০২১) ২৬ জুলাই নবীনগর উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারের দায়িত্ব নেন মোশারফ হোসাইন। বিসিএস ৩৬তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তার বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসাইন জানান, শুরুতেই পুরো অফিস ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় এনে কঠোর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দালাল মুক্ত করা হয়েছে। অফিসের নবনির্মিত ভবনের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্যও নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যার কাজ তাকেই সরাসরি আমার অফিসে আসতে উৎসাহ দিচ্ছি। অন্য কারও হাত দিয়ে আসা মানেই সেখানে দালাল ঢুকে পড়া। ফলে এখন সেবা গ্রহীতারা সরাসরি আমার অফিসে আসতে পারছেন।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে এই অফিসকে বদলে দিয়েছেন নবীনগরের সহকারী কমিশনার। শুধু নবীনগর নয়, জেলার সব উপজেলার ভূমি অফিসগুলোকে এমন মডেল হিসেবে তৈরি করা হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫