‘বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল এডুটেইনমেন্ট সেন্টার’ স্থাপনের পাশাপাশি সাইবার সুরক্ষা ও উভয় দেশের আর্থিক লেনদেনে ইন্টার অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম (আইডিটিপি) তৈরিতে বাংলাদেশের সাথে ভারত যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী।

আজ সোমবার (১৩ জুন) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই-কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এক বৈঠককালে এ আগ্রহর কথা ব্যক্ত করেন। 

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানান, এরইমধ্যেই দ্বিপাক্ষিক আইডিটিপি বাস্তবায়নের প্রস্তাবনাটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ এ বৈঠকের সঞ্চালনা করেন। 

বৈঠকে, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে চলমান প্রকল্পগুলোর সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। একইসাথে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো নিবিড় করতে নানা বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। এসময় হাইটেক পার্কগুলোর কার্যক্রমের অগ্রগতিও তুলে ধরা হয়।

বৈঠকে, দেশের ৬৪টি জেলায় বাংলাদেশ-ভারত এডুটেইনমেন্ট সেন্টার স্থাপন এবং স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম চালুর বিষয়ে ঐক্যমত প্রকাশ করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে আগরতলা সফরের ইতিবাচক অভিজ্ঞতার জন্য ভারতীয় হাই-কমিশনারের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘এখন সময় পারস্পরিক সহযোগিতার। আমি চাই আগামীতে উভয় দেশের আইসিটি খাতে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় আরো বাড়বে। অংশীদারিত্ব আরো সুদৃঢ় হবে।’

তিনি আরো বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতিম পরীক্ষিত দেশ হিসেবে ভারতের সাথে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সফটওয়্যার কমিউনিকেশন ও ডিজিটাল ট্রানজেকশন ও স্টার্টআপ এবং এডুকেশনের ক্ষেত্রে যোগাযোগ আরো বাড়ানো প্রয়োজন।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, আমাদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরো জোরদার করতে বাংলাদেশের সাথে স্টার্টআপ, সাইবার সুরক্ষা এবং ইন্টারঅপারেবল ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের মতো ভবিষ্যতমুখী প্রযুক্তি এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল সল্যুশন নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে আমরা অনেকদূর এগিয়ে যেতে চাই।

আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমসহ আইসিটি বিভাগ ও হাইটেক পার্কের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।