
কচুরিপানার কারণে ভোগান্তির শেষ নেই। ছবি: গোপালগঞ্চ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্চ সদর উপজেলার নিজড়া ইউনিয়নের বছরজুড়ে ৭টি খালে থাকে কচুরিপানায় ভরা। এছাড়া মরা-পচা কচুরিপানা ও ময়লা-আর্বজনা পড়ে খালের তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও এলাকাবাসী। ফলে নৌকায় জমির ফসল বাড়িতে আনতে পারছেন না কৃষক।
আবার পানি পচে চরম দুর্গন্ধ হওয়ায় তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পচা পানির কারণে বেড়েছে মশা-মাছির উপদ্রব, ফলে এখানে অনেকেই পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই কচুরিপানার কারণে এ অঞ্চলের মানুষের যেন ভোগান্তির শেষ নেই। এমতাবস্থায় জরুরিভিত্তিতে কচুরিপানা অপসারণসহ খাল খনন করার দাবি স্থানীয়দের।
জানা গেছে, সদর উপজেলার নিজড়া ইউনিয়নে রয়েছে ৭টি খাল। এসব খালের পানি নিজড়া, বটবাড়ী, বিদ্যাধর, নারকেলবাড়ীসহ ৭টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ রান্না-বান্নাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করে থাকেন।
বিশেষ করে এসব খালের পানি ব্যবহার করে প্রায় ৫০ হাজার কৃষক ১০ হাজার একর জমিতে চাষাবাদ করে নানান ফসল ফলান; কিন্তু কচুরিপানায় ও খালের তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া এসব খাল দিয়ে নৌকা না চলায় বিলের জমি থেকে ধান কেটে ঘরে তুলতে পরছেন না কৃষকরা। সেই সাথে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়ায় খালের পানি পচে যাওয়ায় ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। খালগুলো দিয়ে চলাচল ও পানি ব্যবহারের যোগ্য করে তুলতে কচুরিপানা অপসারণসহ তলদেশ খননের দাবি জানিয়েছেন নিজড়া গ্রামের স্থানীয়রা। সরকারিভাবে এই সমস্যার সমাধান করতে খাল খনন ও কচুরিপানা অপসারণের জন্য কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন এমনটিই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
নিজড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী মিনা ধলু বলেন, আশা করি, এলাকাবাসীর উন্নয়ন ও সংস্কারে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। এলাকাবাসীর এটি প্রাণের দাবি। আমি নিজড়া ইউনিয়নের সব খালের কচুরিপানা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও খাল খননের সব রকমের প্রচেষ্টা চালাব।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহসিন উদ্দিন বলেন, ওই এলাকার ৭টি খাল থেকে অতি তাড়াতাড়ি কচুরিপানা অপসারণসহ খননের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।