
লাল কাঁকড়া। ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি
এক সময় কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ঝাঁকে ঝাঁকে লাল কাঁকড়ার দেখা মিলত। সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী (সায়মন বিচ) পয়েন্ট ছাড়াও সৈকতের নানা স্থানে টকটকে লাল কাঁকড়া দেখা যেত। বর্তমানে এই আকর্ষণীয় লাল কাঁকড়া বিলুপ্তপ্রায়। তবে মাঝেমধ্যে টেকনাফ, ইনানী ও হিমছড়ি সৈকতের কিছু জায়গায় লাল কাঁকড়ার দেখা মেলে।
কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের অধিকাংশই লাল কাঁকড়া দেখতে খুবই আগ্রহী। অনেকেই শুধু এক ঝলক টকটকে লাল এই কাঁকড়া দেখতে ছুটে আসেন সমুদ্রে; কিন্তু পর্যটকদের সেই বুকভরা আশা নিমিষেই বুকফাটা কষ্টে পরিণত হয়। কারণ পুরো সৈকত ঘুরে কাঁকড়ার দেখা পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। করোনাকালে যখন সমুদ্র সৈকতে পর্যটক যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তখন লাল কাঁকড়া দেখা গিয়েছিল সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে। নিষেধাজ্ঞা শেষে লাখ লাখ মানুষের পদচারণায় হারিয়ে গেছে কাঁকড়াগুলো।
পর্যটক শামসুল হক চৌধুরী জানান, এখানে আমার আসা-যাওয়া ২০ বছরেরও বেশি। ছাত্রজীবনে খুব বেশি আসতাম। আসার কারণ হলো, সমুদ্রে গোসল করা, মুক্ত হাওয়া উপভোগ ও লাল কাঁকড়া দেখা। তখন সমুদ্রে নামলেই ঝাঁকে ঝাঁকে লাল কাঁকড়ার দেখা মিলত। একটু দূর থেকে দেখলে মনে হবে, বালুচর যেন রক্তলাল কৃষ্ণচূড়ায় ছেয়ে গেছে। এখন কাঁকড়া পাওয়া আর দেখা ভাগ্যের বিষয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার শাখার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী জানান, সৈকতে চরম অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্ব অবহেলার কারণে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে লাল কাঁকড়া। তাদের সর্বত্র বিচরণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।