Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জ ও সিলেটের সব সড়ক তছনছ

Icon

সিলেট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২২, ০৮:২৮

সুনামগঞ্জ ও সিলেটের সব সড়ক তছনছ

গতকাল সোমবার সুনামগঞ্জ থেকে তোলা ছবি। ছবি: এএফপি

বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের ১১ হাজার ৬৭০ কিলোমিটার রাস্তা একেবারে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গেছে। বন্যার পানি দ্রুত নেমে যেতে অনেক স্থানে রাস্তা কেটে দেওয়া হয়েছে। আবার কোনো কোনো জায়গা দেথলে বোঝার উপায় নেই সেখানে তিন/চার দিন আগেও কোনো সড়ক ছিলো। পানির তীব্র স্রোতে ছোট, দুর্বল ও পুরোনো কালভার্ট-ব্রিজ উপড়ে গেছে। যেসব স্থানে পানি কমতে শুরু করেছে, সেখানেই বেরিয়ে আসছে এবড়োখেবড়ো রাস্তা।

সংশ্নিষ্টরা বলছেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরপরই যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার সুযোগ নেই। ভাঙা রাস্তাঘাটের কারণে সুনামগঞ্জ ও সিলেটের মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি হবে। এসব রাস্তা পুনর্নির্মাণ ও মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করতে ব্যয় হবে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। সময়ও লাগবে বেশ।

সিলেট বিভাগের দায়িত্ব থেকে সম্প্রতি প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত হওয়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী গোপাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, এলজিইডির রাস্তাগুলো মেরামত করতে প্রতি কিলোমিটারে খরচ হয় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা। আর নতুন করে তৈরি করতে খরচ হয় ৭০ থেকে ৮০ লাখ। কিন্তু বন্যার যে ভয়াবহতার চিত্র পাওয়া যাচ্ছে, তাতে অনেক স্থানেই নতুন করে রাস্তা তৈরি করতে হবে।

১৯৯৮ সালে মাদারীপুরে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার চিত্র তুলে ধরে গোপাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ওই বন্যায় মাদারীপুরের প্রায় ৯০ শতাংশ রাস্তা পানির নিচে চলে গিয়েছিলো। সেসব রাস্তা অনেকটাই নতুন করে তৈরি করতে হয়েছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জের চিত্রও ঠিক একই রকম হতে পারে।

এলজিইডি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সুনামগঞ্জ ও সিলেট এই দুই জেলার প্রধান সড়ক ছাড়া বাকি সব রাস্তাই এলজিইডির আওতায় তৈরি। সুনামগঞ্জ জেলায় এলজিইডির রাস্তা আছে চার হাজার ১৬০ কিলোমিটার। সিলেট জেলায় আছে সাত হাজার ৫১০ কিলোমিটার। এই ১১ হাজার ৬৭০ কিলোমিটার রাস্তার প্রায় পুরোটাই পানির নিচে তলিয়ে আছে।

এলজিইডি মনে করছে, বন্যায় রাস্তা যে মাত্রায় তছনছ ও কোথাও কোথাও উধাও হয়ে গেছে, তাতে মেরামত ও পুনর্নির্মাণবাবদ প্রতি কিলোমিটারে গড়ে ২৫ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। এই হিসাবে এসব রাস্তা আবার ব্যবহার উপযোগী করতে হলে দুই হাজার ৯১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করতে হবে এলজিইডিকে। যেটা খুব দ্রুতই সম্ভব হবে না।

বণ্যা কবলিত এলকার রাস্তার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পাওয়ার সময় এখানো আসেনি উল্লেখ করে এলজিইডির সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেন, কোনো রাস্তা অক্ষত অবস্থায় থাকবে বলে মনে হয় না। কারণ, সব রাস্তা বিটুমিনের তৈরি। বিটুমিনের প্রধান শত্রু পানি। তিন দিন পানির নিচে থাকলে বিটুমিন কার্যকরিতা হারায়। বিটুমিন-সুড়কি খুলে যায়। পানির চাপে সেসব আর রাস্তায় থাকে না। কাজেই রাস্তা অক্ষত থাকার কোনো সুযোগ আছে বলে মনে হয় না।

পানি নেমে যাওয়ার পরপরই তথ্য সংগ্রহ করে বন্যাকবলিত এলাকায় সড়ক সংস্কারের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫