Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

আদালতে পরিচয় স্বীকার করলেন পিকে হালদার

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২২, ১৫:৪৬

আদালতে পরিচয় স্বীকার করলেন পিকে হালদার

ভারতে গ্রেপ্তারকৃত প্রশান্ত কুমার হালদার

ভরা আদালত কক্ষে নিজেকে প্রশান্ত কুমার হালদার বলে স্বীকার করে নিলেন অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগের মূলহোতা পিকে হালদার। 

আজ মঙ্গলবার (২১ জুন) কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতের সিবিআই স্পেশাল কোর্ট-৩ এ হাজির করার পরে আসামিদের পরিচয় পর্বের সময় ভরা আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হাত তুলে নিজের পরিচয় স্বীকার করে নেন তিনি। 

এসময় অভিযুক্ত ৬ সহযোগীও নিজেদের পরিচয় স্বীকার করেন। এতে বিব্রত অবস্থায় পড়েন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আসামিপক্ষের তরফে মূল অভিযুক্ত পিকে হালদারসহ ৬ অভিযুক্তের বাংলাদেশি পরিচয় এতদিন অস্বীকার করে তাদের ভারতীয় পরিচয়কেই আদালতের সামনে নিয়ে আসছিলেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।     

আদালতে শুনানি শেষে পিকে হালদারসহ অভিযুক্ত ছয়জনকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে নির্দেশ দেন কলকাতার নগর দায়রা আদালত। 

মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতে মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদার ও তার ভাই প্রাণেশ কুমার হালদার, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার ওরফে পৃথ্বীশ হালদার, স্বপন মৈত্র ওরফে স্বপন মিস্ত্রি, উত্তম মৈত্র ওরফে মিস্ত্রি, আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারসহ মোট ছয়জনকে আনা হয়। দুপুর ১২টার কিছু পর স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ এ তাদের সকলকে হাজির করা হয়। 

কিন্তু প্রায় সবাইকে অবাক করে দিয়ে আদালতে অনুপস্থিত থাকেন ইডির আইনজীবী। নির্দিষ্ট সময়ে আসামি পক্ষের তিন আইনজীবী উপস্থিত থাকলেও ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী  উপস্থিত হতে পারেননি। প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় আদালত কক্ষে বিচারক জীবন কুমার সাধু অপেক্ষা করার পর অবশেষে ইডির আইনজীবীকে ছাড়াই পিকে হালদারসহ অভিযুক্ত ছয়জনকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ৫ জুলাই ফের অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করা হবে। এ দিন ইডির আইনজীবীর অনুপস্থিতিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে পিটিশনে স্বাক্ষর করেন আইনজীবী বিজয় কুমার।

তবে এ দিন আদালতের নাটক এখানেই শেষ হয়নি। আসামিদের পক্ষে জামিনের আবেদন করলেও পৃথক পিটিশন করতেও ব্যর্থ হন আইনজীবী সোমনাথ ঘোষ, আলী হায়দারসহ বাকি আইনজীবীরা। ফলে ইডি এবং আসামিপক্ষের আইনজীবীর ওপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বিচারক জীবন কুমার সাধু। ইডির আইনজীবীকে স্বশরীরে তার চেম্বারে দেখা করার পরেই রায়ের কপি হস্তান্তর করবেন বলে জানিয়ে দেন বিচারক। 

পরে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী আদালতে হাজির হয়ে জানান, আরো প্রায় ৪৫টি নতুন সম্পত্তির হদিস পেয়েছে ইডি, যার অধিকাংশই বেনামে কেনা। এসব সম্পদের মালিকদের চিহ্নিত করার কাজ করছে ইডি। বেশ কিছু এমন সম্পত্তির হদিস মিলেছে যা প্রশান্ত কুমার হালদারের ভাই প্রাণেশ কুমার হালদারের নামে কেনা হলেও পরবর্তীকালে হস্তান্তর করা হয় পিকে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধার নামে। গত ১৪ দিনে আরো ৮০ লাখ টাকার বেশি নগদ অর্থের হদিস পেয়েছে বলেও ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী নিশ্চিত করেন। 

কলকাতার অদূরে রাজারহাট নিউটাউনে আরো একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছে ইডি। বেনামে কেনা এই ফ্ল্যাটের মালিক প্রভাবশালী এক ব্যক্তি বলে ইঙ্গিত দেন ইডির এই আইনজীবী। 

তিনি বলেন, ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে বর্তমানে অবস্থান করছেন এই ব্যক্তি। তাকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। 

পাশাপশি এই মামলায় যে একাধিক বাংলাদেশি প্রভাবশালীদের নাম উঠে আসছে সেই বিষয়ে ইডির এই আইনজীবী বলেন, এসব বাংলাদেশিদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করে সেখানে নানা সময়ে একাধিক ক্যাশ ডিপোজিট করা হয়েছে। এসব ক্যাশ ডিপোজিটের হদিস এরই মধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। আপাতত ৮৮টি ব্যাংকের মোট জমাকৃত অর্থের হিসাব সংগ্রহ করছে ইডি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫