প্রতীকী ছবি
শার্শার দূর্গাপুর গ্রামের গৃহবধূ সাফিয়া খাতুন হত্যা মামলায় স্বামী মোফাজ্জেল হোসেন মিন্টুকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (২২ জুন) স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক এক রায়ে দণ্ডাদেশ দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মিন্টু দূর্গাপুর গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ১০ শ্রেণিতে পড়ার সময় ২০০০ সালে সাফিয়া খাতুনকে ফুসলিয়ে একই গ্রামের মিন্টু বিয়ে করে। সাফিয়া স্বামীর সংসার ছেড়ে আসতে না চাওয়ায় এ বিয়ে মেনে নেয়া হয়। কিছুদিন যেতে না যেতে মিন্টু নানা অজুহাতে সাফিয়াকে মারপিট করত। তারপরও সাফিয়া স্বামীর সংসার ছেড়ে আসেনি। ২০০২ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে সাফিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পিতার বাড়িতে খবর আসে। পুলিশ এ দিন সাফিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে সাফিয়া খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এ রিপোর্ট পাওয়ার পর নিহতের মা একই গ্রামের হযরত আলীর স্ত্রী কদবানু বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় নিহতের স্বামী মোফাজ্জেল হোসেন মিন্টুকে অভিযুক্ত ও অপর চারজনকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই লিয়াকত হোসেন।
এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি মোফাজ্জেল হোসেন মিন্টুর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত মোফাজ্জেল হোসেন মিন্টু পলাতক রয়েছে।