Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

পানিবন্দি হচ্ছে তিস্তা পাড়ের হাজার হাজার পরিবার

Icon

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২২, ২২:০৫

পানিবন্দি হচ্ছে তিস্তা পাড়ের হাজার হাজার পরিবার

তিস্তা ব্যারেজ। ছবি: লালমনিরহাট প্রতিনিধি

তিস্তা নদীর পানি কখনো বিপৎসীমার ওপরে, কখনো বিপৎসীমার নিচে। ফলে সকালে পানি বসত বাড়ি থেকে নেমে গেলেও বিকালে আবারো পানিবন্দি হচ্ছে তিস্তা পাড়ের হাজার হাজার পরিবার। সব মিলে তিস্তা পাড়ে এখন চলছে আতঙ্ক। জেলার পানিবন্দি ২০ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ চললেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। 

গত ২০জুন তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে রাত পর্যন্ত ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও মঙ্গলবার সকালে পানি কমে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই। বেলা ১২টায় পানি বেড়ে আবারো বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে ও ৩ টায় বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। 

আজ বুধবার (২২ জুন) সকাল ৯ টায় আবারো পানি নেমে গিয়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর তীরবর্তী প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের সবকটি গেট খুলে রেখেছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।

পানিবন্দি পরিবারগুলোর অভিযোগ, তারা দুই/একদিন পর পর পানিবন্দি হচ্ছে। কিন্তু সেভাবে ত্রাণ পাচ্ছে না। ত্রাণের ১০ কেজি চাল দিয়ে তাদের কিছুই হচ্ছে না। তারা আরো ত্রাণের দাবি তুলেছেন।

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল, পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মজিবুল আলম সাহাদ ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মশিউর রহমান জানান, তাদের ইউনিয়নে যে পরিমাণ পরিবার পানিবন্দি পরিবার রয়েছে সে তুলনায় তারা ত্রাণ দিতে পারছেন না। প্রতিদিন ত্রাণের জন্য লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে ভিড় জমাচ্ছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ-দৌল্লা বলেন, গত মঙ্গলবার সকালে পানি কমে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই হলেও বিকালে বেড়ে ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর আগে গত ১২ জুন থেকে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বৃদ্ধি ও কমা চলছে। গত ১৭ জুন শুক্রবার সকাল ৬টায় প্রথমবারের মতো বিপৎসীমা অতিক্রম করে ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বুধবার সকাল ৯টায় আবারো পানি নেমে গিয়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর  বলেন, জেলায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে বলে তথ্য রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ১৫০ মেট্রিক টন জিআর চাল এবং শিশু খাদ্য, গো-খাদ্য ও শুকনো খাবার বিতরণের জন্য সর্বমোট ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। ত্রাণের কোনো সংকট নেই বলেও তিনি জানান।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫