Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

লাম্পি রোগে আক্রান্ত কোরবানির ৭ গরুর মৃত্যু, দুশ্চিন্তায় ব্যাপারীরা

Icon

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২২, ১৫:২৩

লাম্পি রোগে আক্রান্ত কোরবানির ৭ গরুর মৃত্যু, দুশ্চিন্তায় ব্যাপারীরা

লাম্পি রোগে আক্রান্ত একটি কোরবানির গরু। ছবি: সংগৃহীত

একদিকে বন্যা ধেয়ে আসছে, আরেক দিকে লাম্পি রোগের ভাইরাস চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। হাজারো কোরবানির পশু এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার সাতটি কোরবানির পশু মারা গেছে। উপজেলার প্রায় সাড়ে ১২’শ গরুর খামারি কোরবানির পশু নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। 

উপজেলার দিঘলীয়া ইউনিয়নের আগ সাভার গ্রামের মো. তাহের হোসেন জানান, তার খামারে ছোট-বড় মিলে ৩৭টি কোরবানির পশু রয়েছে। ৩৭ পশুর মধ্যে ১৬টি লাম্পি স্কিন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে দুটি পশুর অবস্থা খারাপ হলে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।

উপজেলার আরেক খামারি আমিনুর রহমান বলেন, ‘আমার খামারে ২০টি কোরবানির পশুর হৃষ্ঠপৃষ্ট করেছি। ২০টি কোরবানির পশুর মধ্যে ছয়টি লাম্পি রোগে আক্রান্ত। এ রোগের কোনো ভ্যাকসিন না থাকায় কোরবানির পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’

উপজেলার খামারিদের অভিযোগ, লাম্পি রোগের বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ কোনো কাজে আসছে না। সামনে কোরবানির ঈদ। পানির দরে কোরবানির পশু বিক্রি করতে হবে। তবে অসুস্থ পশু ক্রেতারা নেবে কিনা এ নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাড়ে ১২’শ খামারি ২০ হাজার কোরবানির পশু প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে। এসব পশু উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র বিক্রি করা হবে। এরইমধ্যে বেশির ভাগ কোরবানির পশুই লাম্পি রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

প্রাণী বিশেষজ্ঞরা জানান, এই ভাইরাসে কোনো গবাদি পশু আক্রান্ত হলে দুধ উৎপাদন কমে যাবে। গবাদি পশু দুর্বল হয়ে পড়বে, ওজন কমে যাবে ও চামড়ার গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যাবে। 

ল্যাম্পি রোগের হাত থেকে গরুকে বাঁচাতে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো হলো- গরুকে মশা-মাছি হাত থেকে বাঁচতে হবে, খামার ও বসতবাড়ির আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, আক্রান্ত গবাদি পশুকে সুস্থ পশু থেকে দূরে রাখতে হবে, আক্রান্ত পশুকে মশারির ভেতর রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মেহেদি হাসান জানান, এটি একটি ভাইরাসজনিত চর্মরোগ। লাম্পি রোগ একটি অসুস্থ পশুর শরীর থেকে মশা-মাছির মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। এ কারণে রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। একটি খামারে একটি পশু এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে পর্যায়ক্রমে ওই খামারের সব পশুই আক্রান্ত হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘উপজেলার প্রায় ২০ হাজার কোরবানির পশুর মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার পশুই লাম্পি রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ রোগের কোনো ভ্যাকসিন নেই। আমরা গোট পক্স নামে ছাগলের ভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। তবে কোনো কাজে আসছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে খামারিদের ব্যাপক ক্ষতি ও লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে তিনি জানান।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫