
পদ্মা সেতু
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে। বহুল প্রতিক্ষিত এ সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুরে মাওয়া প্রান্তে টোল পরিশোধ শেষে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে তিনি ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দেন।
উদ্বোধনের প্রাক্কালে গণমাধ্যমের সাথে পদ্মা সেতু নিয়ে নানা কথা বলেছেন বিশিষ্টজনরা।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি এনে দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। তার কন্যা আজ দিলেন পদ্মা সেতু। আমাদের গর্বের বিষয়।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ঈদের চাঁদ দেখে যেমন খুশি লাগে তার চেয়েও বেশি। নিজের টাকায় পদ্মা সেতুর চেয়ে খুশির আর কী হতে পারে। যারা বিরোধিতা করেছিল তারাও আজ উচ্ছ্বসিত। যারা অর্থায়ন করেও সরে গেছে তারাও প্রশংসা করছে; কিন্তু বিএনপি এমন এক দল এই সময়েও তাদের নানা কথা। অভিনন্দন জানাতেও তাদের দৈন্যতা প্রকাশ পেয়েছে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, পদ্মা সেতু আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। একদিকে সারা দেশে বন্যা হচ্ছে, অন্যদিকে এই সেতু ঘিরে আনন্দের হিল্লোল বয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের বিস্ময়। অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। পদ্মা সেতু সেই সব ষড়যন্ত্রের উত্তর।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, পুরো জাতি আনন্দিত, ঐক্যবদ্ধ। এটা যে আমাদের উৎসব, আনন্দের বিষয় সবার মাঝে প্রকাশ পাচ্ছে। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, দাবায় রাখতে পারবা না। তার নতুন নিদর্শন পদ্মা সেতু। এটা গর্বের আনন্দের উল্লাসের বিজয়ের।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের জন্য বিশ্বাস ছিল কিন্তু অনেকের অবিশ্বাস ছিল এটা হবে না কোনো দিন। এটা শুধু একটা চতুরতা। প্রমাণ করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতু সততার প্রতীক, আত্মবিশ্বাসের প্রতীক।
জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ ইউহো হায়াকাওয়া বলেন, বাংলাদেশ তাদের সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে। বিষয়টি খুবই আনন্দের।