Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় গরু ব্যবসায়ীরা

Icon

সাইমুন মুবিন পল্লব

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২২, ১৩:৪১

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় গরু ব্যবসায়ীরা

গাবতলী পশুর হাটে সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে গরু। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে শেষ সময়ের প্রস্তুতি চলছে রাজধানীর প্রধান ও স্থায়ী বাজার গাবতলী পশুর হাটে। সাধারণত ঈদের ১০-১৫ দিন আগে থেকে স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাটগুলো সাজানোর প্রস্তুতি নেন ইজারাদাররা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সিলেট-সুনামগঞ্জ আর উত্তরাঞ্চলের বন্যার প্রভাব পড়বে বাজারে। অর্থাৎ গরুর দাম এবার বেশি হতে পারে।

আজ রবিবার (২৬ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট সাজানো হচ্ছে। প্রস্তুত করা হচ্ছে নতুন নতুন অস্থায়ী শেড। আকর্ষণীয় ডিজাইনে সাজানো হচ্ছে প্রধান ফটক। বসানো হচ্ছে ওয়াচ টাওয়ার।

গাবতলী গরু হাটের ব্যবসায়ী শরীফ বলেন, সপ্তাহখানেক পরে জমে উঠবে গরুর হাট। এবার সিলেট ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বন্যা চলছে। অনেক জেলার খামারিদের প্রচুর গরু মারা গেছে। খাবারের অভাবে অনেকে অল্প টাকায় গরু-ছাগল বিক্রি করে দিচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে গরু-ছাগল পরিবহন করে আনা।

কোরবানির হাটে ভারতীয় গরু বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজধারীর হাটে ভারতীয় গরু আশার সুযোগ কম। তবে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে কিছু পশু আসতে পারে।

গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট পরিচালনা কমিটি জানিয়েছে, হাটে ব্যবসায়ীদের টাকা জমা দেওয়ার ভোগান্তি কমাতে এবার কমপক্ষে ৫০টি হাসিল কাউন্টার তৈরি করা হবে। এছাড়া হাটে দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন।

উল্লেখ্য, এ বছর রাজধানীতে মোট ১৯টি কোরবানির পশুর হাট বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে দুটি হলো স্থায়ী হাট, যেগুলোতে বছরের অন্য সময়ও পশু বিক্রি হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে রয়েছে গাবতলী স্থায়ী হাট আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে রয়েছে সারুলিয়া স্থায়ী হাট। এই হাট দুটি ছাড়া ১৭টি অস্থায়ী হাট বসানো হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫