নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক দুই সদস্যের ইয়াবা সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

তারা হলেন- চরহাজারী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য এনায়েত উল্যাহ ছোটন (৪২)। অপরজন হচ্ছে একই ওয়ার্ডের সাবেক আরেক ইউপি সদস্য আহছান উল্যাহ (৬৪)। 

গত ২০ জুন এই দুই জনপ্রতিনিধির ইয়াবা সেবনের ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশের পর উপজেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। উপজেলায় একাধিক সাবেক জনপ্রতিনিধির ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ অভিযানে নামে। এরপর গত বুধবার (২২ জুন) দুপুরে অভিযান চালিয়ে সাবেক মেম্বার আহছানকে ২০ পিস ইয়াবাসহ তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

গত ২০ জুন রাতে ‘সত্যের সন্ধানে মুখোশ উন্মোচন’ ফেসবুক আইডিতে সাবেক ইউপি সদস্য ছোটনের ইয়াবা সেবনের ভিডিওটি আপলোড করা হয়। পরে ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। অপরদিকে একটি আঞ্চলিক নিউজ পোর্টালের ফেসবুক পেজে আহছান মেম্বারের ইয়াবা সেবনের ভিডিওটি আপলোড হলে তা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরহাজারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড মাদক কারবারিদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত। ফেনী অঞ্চলের সাথে চোরাইপথে যোগাযোগের সুবিধা থাকায় এ অঞ্চলটি মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য নিরাপদ। কিছুদিন আগে চরহাজারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন ইয়াবাসেবী ও কারবারির মধ্যে ইয়াবা বেচাকেনা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের সূত্র ধরে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে সাবেক দুই ইউপি সদস্যদের ইয়াবা সেবনের ভিডিওচিত্র আপলোড করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ইয়াবাসেবীদের একান্ত সহযোগীরাই এসব ভিডিওচিত্র তাদের মুঠোফোনে ধারণ করে রাখে। বিরোধ দেখা দিলে এগুলো ফাঁস করা হয়।

সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মুঠোফোনে কল দিলে ছোটন মেম্বার বলেন, আমি গাড়িতে আছি। পরে ফোন দেবেন বলে লাইন কেটে দেন। পরে অভিযোগের বিষয়ে জানতে তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশ সাবেক এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।