Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

গবাদিপশুর দাম নিয়ে শঙ্কিত খামারিরা

Icon

ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২২, ১৩:৩১

গবাদিপশুর দাম নিয়ে শঙ্কিত খামারিরা

গো-খাদ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে চিন্তিত গ্রামাঞ্চলের ক্ষুদ্র খামারিরা। ছবি- ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

কোরবানির ঈদ ঘিরে গবাদিপশু পর্যাপ্ত থাকলেও দাম নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে ময়মনসিংহের খামারিদের মধ্যে। বর্তমান সময়ে দেশের সার্বিক অবস্থার পাশাপাশি গো-খাদ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে চিন্তিত গ্রামাঞ্চলের ক্ষুদ্র খামারিরা।

সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বিদেশি গরু রপ্তানি বন্ধের। তারা ২০ বছর ধরে গবাদিপশু লালন-পালনের সঙ্গে জড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশালের হরিরামপুর গ্রামের খামারি রাসেল আহম্মেদ। দুই বছর আগেও, কোরবানির হাটকে ঘিরে গবাদিপশু লালন-পালন করতেন চার থেকে পাঁচটি। তবে সে সংখ্যা এবার কমে দাঁড়িয়েছে একটিতে। 

রাসেল বলেন, গম, ভুসি, কলাই, খৈল, খড়, সবকিছুর দাম বেড়েছে। ফলে কোনোভাবেই চার থেকে পাঁচটি গরু লালন-পালন সম্ভব হচ্ছে না। একটি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, দামের আশা করা হচ্ছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা; কিন্তু বাজারে কী দাম পাওয়া যায়, তার উপর তাকিয়ে রয়েছি, কম হলেও ছেড়ে দিতে হবে গরু। 

ঈদের আগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অস্বাভাবিক বন্যায় গরু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ফুলবাড়িয়া উপজেলার বালিয়ান ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের শৌখিন খামারি আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আমার একটি ১৬ মণ ওজনের কালো রঙের ষাঁড় রয়েছে। আশা করেছিলাম ৬ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারব; কিন্তু দেশের এমন পরিস্থিতিতে এখন ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে চিন্তায় পড়েছি। তবে সরকার যদি বিদেশি গরু আমদানি বন্ধ করে দেয়, তাহলে হয়তো দাম পাওয়া যাবে। 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক ডা. মনোরঞ্জন ধর বলেন, কোরবানির জন্য চাহিদার চেয়েও বেশি পশু রয়েছে। এবারও ক্রেতাদের চাহিদা এবং সুবিধার কথা চিন্তা করে, হাটের পাশাপাশি অনলাইনে গরু কেনা-বেচার মাধ্যম রাখা হবে। সেখান থেকে ক্রেতারা পছন্দসই পশু কিনতে পারবেন। এছাড়াও হাটগুলোতে প্রাণিসম্পদের মেডিক্যাল টিম কাজ করবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫