
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বাবা উজ্জল হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
সাভারের আশুলিয়ায় শিক্ষার্থীর স্টাম্পের আঘাতে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার (৩৫) মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বাবা উজ্জল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২৯ জুন) ভোররাতে কুষ্টিয়া থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, শিক্ষককে হত্যার ঘটনার পর থেকেই ওই ছাত্র ও তার পুরো পরিবার আত্মগোপনে চলে যায়। উজ্জ্বল তার বাড়ির এক ভাড়াটিয়ার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ছিলেন। পরে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়। দ্রুত ওই স্কুলছাত্রকেও গ্রেপ্তা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে পালাতে সহায়তার জন্য তার বাবা উজ্জল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। উজ্জ্বলকে আদালতে পাঠানো হবে। তার সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
উজ্জল হোসেন কী মামলার আসামি, এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, আমাদের কাছে মনে হচ্ছে তার (উজ্জল) প্রশ্রয়েই ওই শিক্ষার্থী শিক্ষককে আঘাত করেছিল। এছাড়া তিনি তার ছেলেকে পালাতে সাহায্য করছেন। তাকে মামলায় আসামি করা হবে।
শিক্ষক উৎপলকে হত্যার ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রকে প্রধান আসামি করে এবং অজ্ঞাত আরো তিন-চার জনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। নিহত শিক্ষকের ভাই অসীম কুমার মামলাটি করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী দশম শ্রেণির ছাত্র হলেও তার জন্ম সনদ অনুযায়ী বয়স ১৯ বলে দাবি করছেন শিক্ষকরা। তবে মামলায় ওই শিক্ষার্থীর বয়স ১৬ বছর দেখানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলছিল। শিক্ষক উৎপল কুমার মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে খেলা দেখছিলেন। দুপুরের দিকে হঠাৎ এক ছাত্র মাঠ থেকে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প নিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে পালিয়ে যায়। উৎপলকে দ্রুত উদ্ধার করে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।