
বায়েজিদ তালহা । ফাইল ছবি
পদ্মা সেতুর
নাট-বল্টু খুলে নেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার বায়েজিদ তার ‘কর্মের’
জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। এছাড়া তিনি অনুতপ্ত। পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দাবি করেন,
জোশের বশে তিনি পদ্মা সেতুর নাট খুলেছেন। এই ঘটনা নিয়ে ‘এতো কিছু’
হবে এটা তার কল্পনায় ছিল না।
বায়েজিদের ভাষ্য,
‘তিনি পেশাদার টিকটকার নন। শখের বশে মাঝে মাঝে টিকটক ভিডিও তৈরি করেন। নিজের প্রাইভেটকার
চালিয়ে ঘটনার আগের রাতে পদ্মা সেতু এলাকায় যান। সকালে সেতু খুলে দিলে কাতারপ্রবাসী
বন্ধু কায়সারকে নিয়ে পদ্মা সেতুর ওপরে উঠেন।’ তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বুধবার
(২৯ জুন) এতথ্য জানান।
সিআইডির বিশেষ
পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, সাত দিনের মধ্যে দু’দিনের রিমান্ড তার শেষ হয়েছে। বায়েজিদ
তার কাজের জন্য ক্ষমা চাচ্ছেন। শুধু টিকটক ভিডিও তৈরি নাকি তার অন্য কোনো উদ্দেশ্য
ছিল এটা আমরা তদন্ত করে দেখছি। সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে। আইনের দৃষ্টিতে ক্ষমা চাওয়া
বা ভুল বুঝতে পারা তো সমাধান নয়।
সিআইডি সূত্র
জানায়, সোমবার রাতে বায়েজিদের শান্তিনগরের বাসা থেকে তার গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। ওই গাড়ির
ভেতর টুলবক্স রয়েছে। তবে বায়েজিদ দাবি করেন, কোনো সরঞ্জাম ব্যবহার করে নয়, হাত দিয়ে
নাট খুলেছেন তিনি।
বায়েজিদের ঘনিষ্ঠ
বন্ধু কায়সারকে বুধবার পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি। এরই মধ্যে তার দেশত্যাগ ঠেকাতে
ইমিগ্রেশনে চিঠি দেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বায়েজিদ জানান, ঢাকা কলেজে পড়ার সময় তার সাথে
কায়সারের পরিচয়। এরপর কায়সার কাতার চলে যান। তবে প্রতি বছর একবার দেশে আসতেন। তার গ্রামের
বাড়ি সাভার। পদ্মা সেতু দেখতে কায়সারকে সাথে নিয়ে যান তিনি।
গত রবিবার সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, হলুদ শার্ট ও প্যান্ট পরিহিত
এক যুবক পদ্মা সেতুর নাট খুলছেন। ফেসবুকে অনেকে ওই যুবকের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ
করেন। অনেকে তার ছবি শেয়ার করে লিখেছেন দ্রুত তাকে আইনের আওতায় নেওয়া হোক।
পুলিশের অপরাধ
তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে রবিবার তাকে গ্রেপ্তার
করে। এরপর তার বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়। ওই
মামলায় সোমবার সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি।