
ছবি : লালমনিরহাট প্রতিনিধি
ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে ফের বেড়েছে তিস্তা ও ধরলার পানি। আবারো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১৫ হাজার পরিবার । জরুরি হয়ে পড়েছে শুকনো খাবারের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে বুধবার (২৯ জুন) ভোর রাত থেকে তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান নদীর পানি বাড়তে থাকে। বিকাল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ধরলার পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সম্প্রতি যে সকল এলাকার বাড়ি ঘর থেকে পানি নেমে যায়, সে সকল এলাকাগুলো আবারো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে জেলার হাতীবান্ধায় তিস্তা ও সানিয়াজান নদীর পানি বাড়ায় ৭টি ইউনিয়নের ১২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন। হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া, সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিংগীমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ১ হাজার ২শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে, পানির স্রোতে আঞ্চলিক সড়কগুলো ভেঙে যাচ্ছে। অনেক পরিবার রান্না করতে না পেরে শিশু সন্তান নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছেন।
পানিবন্দি পরিবারের মোজাম্মেল হক বলেন, রান্নাঘরে পানি আসায় চুলা জ্বালানোর কোনো ব্যবস্থা নাই। সকাল থেকে বিস্কুট খেয়ে গবাদি পশু নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাকির হোসেনসহ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, নদীর পানি বেড়ে এলাকার কয়েক’শ মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। পানিবন্দি পরিবারগুলোর ত্রাণ সহায়তা জরুরি প্রয়োজন।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, উপজেলার পানিবন্দি হয়েছে কয়েকটি ইউনিয়নের লোকজন। পানিবন্দি লোকজনের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। দ্রুত পানিবন্দি পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, জেলায় নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্তদের জিআর চাল এবং শিশু খাদ্য, গো-খাদ্য ও শুকনো খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।