বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রামের আয়োজনে শিক্ষক হত্যা ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আজকে যারা রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ স্তরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারাও তো একজন শিক্ষকের হতে গড়ে উঠা ছাত্র ছিলেন। কেমন নির্লজ্জ আপনারা; ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাতি গড়ার কারিগর আপনাদেরই সামনে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত হতে হয়। আপনি আর কি শিক্ষা বিভাগের দায়িত্ব পালন করবেন, শিক্ষা ব্যবস্থা কে উন্নত করবেন। 

বক্তারা আরো বলেন, একজন শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পড়ানো মানে সমস্ত শিক্ষকদের পড়ানো। আপনি যে সার্টিফিকেট অর্জনের মাধ্যমে ঐ পর্যায়ে অবস্থান করছেন তারই অবমাননা আপনি নিজেই সৃষ্টি করে দিয়েছেন। এই ঘটনায় আজ শিক্ষক সমাজ লাঞ্ছিত, পুরো জাতি অপমানিত। এই পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রী, উপ-মন্ত্রীসহ সরকারের কোনো পর্যায়ের লোক এখনো পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজনবোধ মনে করেননি। আপনারা কি কোনো শিক্ষকের নিকট শিক্ষা গ্রহণ করেননি। এ প্রশ্ন শিক্ষক সমাজ আপনাদের প্রতি রাখতে চায়। যদি শিক্ষা গ্রহণ করে না থাকেন তাহলে কীভাবে সংসদ পর্যন্ত পৌঁছালেন, জাতি জানতে চায়।

শিক্ষক নির্যাতন ও শিক্ষক হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) চট্টগ্রাম এর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল চট্টগ্রাম মহানগরীর আন্দরকিল্লা চত্বরে আজ শনিবার (২ জুলাই) বিকেল ৩ টায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি সৈয়দ লকিতুল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সহ-সভাপতি রঞ্জিত কুমার নাথ, সাধারণ সম্পাদক অঞ্চল চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি নুরুল হক সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার কানুনগো, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক তাপস চক্রবর্তী, স্বপন সাহা, সমাজকল্যাণ সম্পাদক শিমুল কান্তি মহাজন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাজ মিয়া।

উপজেলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মো. রফিকুল আলম, ফিরোজ চৌধুরী, শ্যামল দে, মুক্তিসাধন বড়ুয়া, মো. ইয়াকুব আলী, মো. এহসান, শেখর ঘোষ, বিল্টু কুমার সিংহ প্রমুখ।