
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে তোলা ছবি। ছবি: সংগৃহীত
ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন স্টেশনে তৃতীয় দিনের মতো চলছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। আজ রবিবার (৩ জুলাই) বিক্রি হচ্ছে আগামী ৭ জুলাইয়ে (বৃহস্পতিবার) টিকিট। আজ সকালে টিকিটপ্রত্যাশীদের চাপ গত দুই দিনের তুলনায় বেশি ছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কমলাপুর স্টেশনের মূল প্ল্যাটফর্মের বাইরে চলে গেছে টিকিটপ্রত্যাশীদের লাইন। লাইনে যারা সামনের দিকে আছেন, তাদের অধিকাংশই গতকাল শনিবার (২ জুলাই) থেকে অবস্থান করছেন। অপেক্ষায় থাকা অনেকে ক্লান্ত হয়ে প্ল্যাটফর্মের মেঝেতে বসে আছেন।
এদিকে, পেছনের দিকে থাকা অধিকাংশই মনে করছেন, তারা টিকিট পাবেন না। টিকিট না পেলে কেউ কেউ চলে যাবেন, আবার কেউ আগামীকাল সোমবার (৪ জুলাই) যেন পান, সেই আশায় থেকে যাবেন।
টিকিটপ্রত্যাশীদের মধ্যে অনেকেই অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘ অপেক্ষার পর কাউন্টার থেকে টিকিট নিতে অনেক বেশি সময় লাগছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি' জানিয়েছে, সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ঢাকার ছয়টি স্টেশনের কাউন্টারগুলো থেকে টিকিট বিক্রি হয়েছে চার হাজার ৭১১টি। অন্যদিকে, অনলাইনে টিকিট বিক্রি হয়েছে ১০ হাজার ৫৭৯টি। এই টিকিট বিক্রির সংখ্যা থেকেও অনেকটা বোঝা যাচ্ছে, কাউন্টারে সত্যিই কিছুটা ধীরগতি রয়েছে।
টিকিটপ্রত্যাশী মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, ১২ ঘণ্টা পর কাউন্টার সামনে এসেছি। টিকিট নিতে সময় লাগলো চার মিনিট। এমন সবার ক্ষেত্রেই একই ঘটনা ঘটছে। এতে করে মানুষের অপেক্ষা দীর্ঘ থেকে আরো দীর্ঘ হচ্ছে।
সৈয়দপুর স্টেশনের টিকিট প্রত্যাশী ফয়সাল আরেফিন বলেন, গতকাল শনিবার সকালে থেকে অনলাইনে চেষ্টা করেও কোনো টিকিট পাইনি। পরে আজ রবিবার ভোর ৫টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে এসেছি। এখানে এসেও অনলাইনে চেষ্টা করেছি, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। যদি অনলাইনের টিকিট ব্যবস্থা ভালো করা যেতো, মানুষের এতো ভোগান্তি হতো না। অনলাইনে টিকিট না পাওয়ার কারণেই দীর্ঘ সময় লাইনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষজনকে।
এ বিষয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার জানিয়েছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে নম্বর উঠিয়ে তারপর টিকিট ইস্যু করতে হয়। এজন্য সময় লাগছে।