বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গিয়াসউদ্দিন বাবুল মোল্লাকে হত্যার অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার তিনদিন পরে শনিবার (০২ জুলাই) দুপুরের পর অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ।

মামলায় নগরীর জর্ডন রোড এলাকার গেইন ডায়াগনস্টিক এন্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারের মালিক এস এম রফিকুল ইসলাম এবং তার ভাই এসএম মুশফিকুর ইসলামের নাম উল্লেখসহ চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। যার মামলা নম্বর ১১।

বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিমুল করিম জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল ও কর্র্মচারিদের মারধরে সাবেক কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন বাবুল মোল্লাকে মৃত্যু হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এসআই মেহেদী হাসানকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তে সবকিছু বের হয়ে আসবে বলেও জানান ওসি।

এরআগে, শনিবার সকালে মহানগর বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবায়েদুল হক চাঁন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান টিপু, শাহ্ আমিনুল ইসলাম আমিন, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবির জাহিদ, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া পারভীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মাহবুবুর রহমান পিন্টুসহ নিহতের স্বজনরা।

‘সচেতন নাগরিক’ ব্যানারে বিএনপি আয়োজিত এই কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী।

মানববন্ধনে মামলার বাদী নিহতের ভাই কালাম মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পর পুলিশের সহায়তা চাওয়া হলেও তারা সহায়তা করেনি। এমনকি মামলা গ্রহণ নিয়ে টালবাহানা করেছেন। অথচ আমার পিতা বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তিনি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে বরিশাল নগরীর জর্ডন রোডের গেইন ডায়াগনস্টিক এন্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারের রোগী ধরা দালালদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার জের ধরে সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন বাবুল মোল্লাকে মারধর করা হয়। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।