Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমতের আশা সিইসি’র

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২২, ১৯:২৮

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমতের আশা সিইসি’র

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি: ফাইল

আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা সৃষ্টি করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। রবিবার (৩ জুলাই) ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাইকমিশনের নেতৃত্বে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টভুক্ত (ওইসিডি) ১৪টি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এখনো কিছু কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিচ্ছে। তবে চেষ্টা করে যাবো, যেন সব দলের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। যেন একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়।

১৪টি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উনারা এসেছেন এটা একটা ট্রেডিশন। আগেও এসেছেন, এরই ধাবাবাহিকতা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইন-কানুন, আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা আমাদের কার্যক্রমগুলো জানিয়েছি। উনারা সাধারণত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর জোর দিয়ে থাকেন। সেজন্যই নির্বাচনটা ইনক্লুসিভ, একসেপ্টেবল, ফ্রি এবং ফেয়ার হলে উনারাও খুশি হবেন, পুরো দেশবাসী খুশি হবে।

তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব ঘুচবে এবং সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে, প্রতিনিধিদল এমনটিই বিশ্বাস করে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের দিকে থেকে নির্বাচন কমিশন হিসেবে যা যা করণীয় করবো। উনারা কমিশনের প্রস্তুতি বিষয়ে প্লিজড। ভবিষ্যতেও প্রয়োজনে যে কোনো সময় তাদের আসতে বলেছি।

কোনো সহযোগিতা করার বিষয়ে প্রতিনিধি দল কিছু বলেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, উনারা সহযোগিতার কথা বলেছেন। তবে আমরা চট করেই কিছু বলিনি। আমরা বলেছি, সহযোগিতা লাগবে কি না সেটা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দেখবো। কোনো ট্যাকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা উনাদের জানাবো। আমরা এখনো কোনো সহযোগিতা চায়নি।

সক্ষমতা বাড়ানোর সহযোগিতা নাকি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহযোগিতা করবে, এ প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সবকিছুই ইলেকশন রিলেটেড। ভোটার অ্যাডুকেশন বা ইসির সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়গুলো সহযোগিতার আওতায় আসতে পারে। তবে আমরা তো এখনো সহযোগিতা চাইনি। প্রয়োজন হলে জানাবো। ফলে কী ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে কিংবা আদৌ সহযোগিতা লাগবে কি না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, উনারা পর্যবেক্ষকের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি, এদিক থেকে কোনো বাধা নেই। তবে এ বিষয়ে ডিপ্লোমেটিক্যালি আলোচনা করে দেখতে পারেন। নির্বাচনকালীন বিদেশি পর্ববেক্ষকদের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কথা বলতে বলেছি প্রতিনিধিদলকে।

প্রসঙ্গত, অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টভুক্ত (ওইসিডি) ১৪টি দেশের প্রতিনিধি দলে ছিলেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস, কানাডার হাইকমিশনার লিলিও নিকলস, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইননি এস্ট্রুপ পিটারসেন, ফ্রান্সের সহকারী রাষ্ট্রদূত গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার, ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতা, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন, স্পেনের ফ্রান্সিসকো ডি এস-এস বেন-তেজ সালাস, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান এবং জাপানের হেড অব মিশন ইয়ামায়া হিরোয়ুকি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫